কলকাতা: ফের প্রকাশ্যে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ। বুধবার আলিপুর আদালতে ছিল শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানি৷ শোভনের সঙ্গে যথারীতি হাজির হয়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যেপাধ্যায়৷ অভিযোগ, আদালত চত্বরে বহিরাগতদের এনে তাঁদের হুমকি দিয়েছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক। যদিও স্বামী শোভন ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর আনা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রত্না। স্বামীর অভিযোগ শুনে তিনি এককথায় হতবাক।
এদিকে, আগাম অশান্তির আঁচ পেয়ে মঙ্গলবারই আলিপুর থানায় ছোটেন শোভন৷ লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। বুধবার তিনি অভিযোগ করেন, বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানির জন্য আদালতে এলে তাঁকে ও তাঁর বান্ধবীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে রত্নার অনুগামীরা। শোভনের বক্তব্য, ‘‘বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। দু’পক্ষই তাঁদের আইনজীবী মারফৎ নিজেদের কথা আদালতে জানাব। তারপর আদালত নিজের সিদ্ধান্ত জানাবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে।’’ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, শুধু তাঁকে বা বৈশাখীকে নয়, তাঁর আইনজীবীকেও নাকি হেনস্থা করেছে রত্নার গুন্ডারা। শোভন বলেন, ‘‘আমিও ১৯৮৫ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি ছিলাম। কিন্তু কখনই দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিইনি। এখন যা দেখছি, তা আমার ৪০ বছরের জনপ্রতিনিধির জীবনে নজিরবিহীন ঘটনা।’’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর স্ত্রী রত্নার। শুনানির সময় আদালত চত্বরে বহিরাগতদের এনে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে একাধিকবার রত্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন শোভন-বৈশাখী।
এদিকে, শোভন-বৈশাখীর অভিযোগ শুনে রত্না বলেন, ‘‘আমার কোনও প্রয়োজন পড়েনি আদালতে লোকজন নিয়ে আসার। আদালতে আইনের লড়াই হবে৷ সেখানে আমার সঙ্গে অন্য কেউ যায়নি। আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ শোভনকে বিঁধে তিনি ফের বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব কর্তব্য অন্য কাউকে বুঝিয়ে দিতে হবে না। আমি আমার বিধানসভা ও ওয়ার্ডের সঙ্গে আমার দুই সন্তানের দেখভাল করি।’’
বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। যদিও রত্না চট্টোপাধ্যায়ও বারবার স্পষ্ট দাবি করেছেন, তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বিচ্ছেদ চান না। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোভন বলেন, “আদালত চত্বরে কুকথা বলেছেন রত্না। দরজার সামনে হুমকিও দিয়েছেন।’’