মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের রাজ্য প্রশাসনের

কলকাতা: গাফিলতির অভিযোগ তুলে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের রাজ্য প্রশাসনের৷ আজ, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এই বৈঠকে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তা ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় মেট্রো বিপর্যের

মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের রাজ্য প্রশাসনের

কলকাতা: গাফিলতির অভিযোগ তুলে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের রাজ্য প্রশাসনের৷ আজ, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এই বৈঠকে মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে FIR দায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর৷ জানা গিয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তা ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷

বুধবার সন্ধ্যায় মেট্রো বিপর্যের পর সাগর থেকে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গোটা ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী৷ নির্দেশ পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, দমকলের ডিজি জগমোহন। মেট্রোর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সুজিত বলেন, ‘‘গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে৷ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করা যাবে না৷’’ মেয়রের বক্তব্য, ‘‘যাত্রীদের দাবি, মেট্রো রেল দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি৷’’ জগমোহন জানান, রেকের যেখান থেকে পাওয়ার সাপ্লাই হয়, সেখানে আগুনের ফুলকি বের হতে থাকে৷ সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে৷

মেট্রোর বিরুদ্ধে যাত্রীদের মূল অভিযোগ, ঘটনা ঘটার অন্তত চল্লিশ মিনিট ধরে তাঁরা অন্ধকার রেকের মধ্যে আটকে ছিলেন। উদ্ধারকারী দল অনেক পরে ঘটনাস্থলে আসে। যাত্রীদের বক্তব্য, সেই সময় আতঙ্ক কাটাতে কোনও রকম ঘোষণাও করা হয়নি। উপায়ান্তর না দেখে এসি রেকের কাচের জানলা ভাঙতে শুরু করেন। তাতেও হাত-পা কেটে রক্তাক্ত হন অনেকে। উদ্ধারের পর জল, অ্যাম্বুল্যান্স, স্ট্রেচারের ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা৷ মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *