খড়দায় প্রৌঢ়কে খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়, কী বললেন প্রাক্তন স্ত্রী?

খড়দায় প্রৌঢ়ের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। পুলিসি জেরায় মৃতের প্রাক্তন স্ত্রী অদিতি চক্রবর্তী জানান, প্রতুল চক্রবর্তীকে খুনের পরে পোশাক পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। আগের পোশাক ব্যাগে ভরে একটি খালে ফেলে দিয়ে যান অদিতি। এমনকী প্রতুল চক্রবর্তীর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ফেলে দেন তিনি। পুলিসের হাতে যাতে কোনও তথ্য না আসে, সে জন্যই এই পরিকল্পনা করেন। আর এই তথ্য

খড়দায় প্রৌঢ়কে খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়, কী বললেন প্রাক্তন স্ত্রী?

খড়দায় প্রৌঢ়ের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়। পুলিসি জেরায় মৃতের প্রাক্তন স্ত্রী অদিতি চক্রবর্তী জানান, প্রতুল চক্রবর্তীকে খুনের পরে পোশাক পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। আগের পোশাক ব্যাগে ভরে একটি খালে ফেলে দিয়ে যান অদিতি। এমনকী প্রতুল চক্রবর্তীর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি ফেলে দেন তিনি। পুলিসের হাতে যাতে কোনও তথ্য না আসে, সে জন্যই এই পরিকল্পনা করেন। আর এই তথ্য লোপাটের জন্যই প্রতুল চক্রবর্তীর কোনও নিকট আত্মীয়র খোঁজ পায়নি পুলিস। কোনও পরিজনের সন্ধান না পেলে, কয়েকদিন পরে আইনি পদ্ধতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ সৎকার করা হবে। প্রতুল চক্রবর্তী খুনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই খুনের তদন্তে নেমে ১৪ বছর আগে বারাসতের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তও ফের শুরু করেছে পুলিস। ২০০৪ সালে অদিতির প্রথম পক্ষের স্বামী বারাসতের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা জয়দীপ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে ওই পরিবারে আরও ৩জনের রহস্য মৃত্যু হয়। এরপর সেই বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে যান অদিতি। মৃত জয়দীপের চাকরি পান অদিতি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, জয়দীপের মৃত্যুও স্বাভাবিক ছিল না। এই সব তথ্য নতুন করে খতিয়ে দেখছে পুলিস। অদিতির সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামী প্রতুল চক্রবর্তীরও ডিভোর্স হয় কিছুদিন আগে। এরপর তিনি বিয়ের চেষ্টা করেন বলে পুলিস সূত্রে খবর। অভিযোগ, এই সব পরিকল্পনায় বাধ সাধেন প্রতুল। আপ তার জেরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন প্রাক্তন স্ত্রী। জেরায় অদিতি জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন প্রতুল তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেন। আত্মরক্ষার্থেই প্রতুলকে খুন করেন তিনি। কিন্তু পরে দফায় দফায় জেরায় তিনি জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই প্রাক্তন স্বামীকে খুন করেছেন। ঘটনার দিন প্রতুল ও তিনি মদ্যপান করেন। প্রতুল বেসামাল হয়ে পড়লে, বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে খুন করেন অদিতি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁসও লাগিয়ে দেন তিনি। বুধবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ফের ৫দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশন দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *