LIC সম্পর্কে জরুরি তথ্য, টাকা রাখার আগে অবশ্যই পড়ুন, কাজে লাগবে!

নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম সম্পর্কে একাধিক গুজব ও ভিত্তিহীন খবর রটানো হচ্ছে৷ কিন্তু সেই সমস্ত বিভ্রান্তকর খবরে কান না দিতে আর্জি জানিয়েছে এলআইসির তরফে৷ এবার জেনেনিন ভারতীয় জীবন বীমা নিগম সম্পর্কে বেশ কয়েকটি জরুরি তথ্য যা আপনার জানা প্রয়োজন৷ এই মুহূর্তে ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের মোট তহবিল রয়েছে ৩১ লক্ষ ১১

LIC সম্পর্কে জরুরি তথ্য, টাকা রাখার আগে অবশ্যই পড়ুন, কাজে লাগবে!

নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম সম্পর্কে একাধিক গুজব ও ভিত্তিহীন খবর রটানো হচ্ছে৷ কিন্তু সেই সমস্ত বিভ্রান্তকর খবরে কান না দিতে আর্জি জানিয়েছে এলআইসির তরফে৷ এবার জেনেনিন ভারতীয় জীবন বীমা নিগম সম্পর্কে বেশ কয়েকটি জরুরি তথ্য যা আপনার জানা প্রয়োজন৷

এই মুহূর্তে ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের মোট তহবিল রয়েছে ৩১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা৷ মোট পলিসি গ্রাহক ২৯ কোটি৷ পলিসি গ্রাহকের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের এক নম্বর বীমা সংস্থা হিসেবে গণ্য হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান৷ এই সংস্থায় কর্মচারী রয়েছেন এক লক্ষ ১২ হাজার৷ মোট এজেন্ট সংখ্যা ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার৷ গতবছর লাভের পরিমাণ ২৩ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা৷ এই বছরের প্রথম ৫ মাসে পলিসি বিক্রি হয়েছে ৬৭ লক্ষ ৮৬ হাজার ২১০টি৷

এই পাঁচ মাসে ২৩টি বেসরকারি বীমা কোম্পানি সামগ্রিকভাবে যে ব্যবসা করেছে এলআইসি একাই তার তিনগুণ ব্যবসা করেছে৷ এলআইসি কোনও কোম্পানি নয়৷ পুরো নাম, ভারতীয় জীবন বীমা কর্পোরেশন৷ মানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা৷ এর মালিক কেন্দ্রীয় সরকার ও পলিসি হোল্ডাররা৷

এলআইসি ১৯৫৬ এর ৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতিটি পলিসিতে রশিদ অনুযায়ী সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া সরকারি গ্যারান্টি রয়েছে৷ যা অন্য কোনও আর্থিক সংস্থায় নেই৷ ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টি রয়েছে৷ এই সংস্থায় যা লাভ করে, তার ৫% সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য খরচ করে৷ বাকি ৯৫% টাকা পলিসি হোল্ডারদের মধ্যে বোনাস হিসাবে ভাগ করে দেওয়া হয়৷ ফলে, গ্রাহকদের পলিসিতে প্রতিবছর যে বাড়তি টাকা জমা হয়, তা শুধু নয়৷ বোনাস হিসাবে দেখানো হয়৷ এই সংস্থার জন্ম পয়লা সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ সালে৷ ৬৩ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে এসেছে এই প্রতিষ্ঠানটি৷

এলআইসির কম্পিউটারাইজড চালিত শাখার সংখ্যা এই মুহূর্তে ২০৪৮টি৷ এ ছাড়াও স্যাটেলাইট অফিসের সংখ্যা ১৪০৮টি৷ এলআইসির ৭৪ শতাংশ টাকা সরকারি বন্ড বা সিকিউরিটিতে নিরাপদ বিনিয়োগে হয়৷ বাকি ২৬% টাকা রাজ্য সরকারকে ও শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে৷ এখন আইডিবিআইয়ের ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনেছে৷ ফলে ওই ব্যাংক এখন ভারতীয় জীবন বীমা নিগমের অধীনস্থ৷ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার কেনা হয়েছে, যেহেতু ওই দুটি ব্যাংকে লোকসানে চলছিল৷ সেখানে কেন বিনিয়োগ করা হল? তা নিয়ে বেশ কিছু গুজব শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু তার তারা এটা বুঝেন না, টাকা যখন বিনিয়োগ করা হয় তা কখনও লাভ-লোকসানের হিসাব প্রতিফলিত হয় না৷ তা যতক্ষণ না বিক্রি করা হয়৷ এটাও জানা দরকার, ওই সব ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে পলিসি বিক্রি করে এলআইসি তার আর্থিক অবস্থা আরও সমৃদ্ধ করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *