সন্তান ‘ভরপুর’ সংসার সামলে বছরে ৩.৪ কোটি উপার্জন গৃহবধূর

ভোপাল: ঠিক যেন সিনেমার বাস্তব রূপায়ণ৷ জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে নিজের স্বপ্নকে সার্থক করে দেখালেন মধ্য প্রদেশের গৃহবধূ৷ মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট শহর অশোকনগর৷ সেখানেই থাকেন রাখি খেরা নামের বছর ৪৩-এর এই গৃহবধূ৷ বর্তমানে তিনি মিন্ট্রার সর্বচ্চ বিক্রতা৷ নিজের কষ্টে অনলাইন শপিং সংস্থায় নিজের তৈরি পণ্য বিক্রি করে এ বছরে ৩.৪ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন৷

সন্তান ‘ভরপুর’ সংসার সামলে বছরে ৩.৪ কোটি উপার্জন গৃহবধূর

ভোপাল: ঠিক যেন সিনেমার বাস্তব রূপায়ণ৷ জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে নিজের স্বপ্নকে সার্থক করে দেখালেন মধ্য প্রদেশের গৃহবধূ৷ মধ্যপ্রদেশের একটি ছোট শহর অশোকনগর৷ সেখানেই থাকেন রাখি খেরা নামের বছর ৪৩-এর এই গৃহবধূ৷ বর্তমানে তিনি মিন্ট্রার সর্বচ্চ বিক্রতা৷ নিজের কষ্টে অনলাইন শপিং সংস্থায় নিজের তৈরি পণ্য বিক্রি করে এ বছরে ৩.৪ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন৷ জানা গিয়েছে, রাখি খেরা ফ্লিপকার্ট, জাবং ও মাইন্ট্রায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ ধরনের পোষাক তৈরি করে তা সরবরাহ করেন৷

প্রথম থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল, ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার৷ কিন্তু আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই পরিবারের সদস্যরা তাঁর ইচ্ছার আমল দেননি৷ এটা পড়াশোনা করার মতো কোনও বিষয় বলেই হয়তো গণ্য করেননি তাঁরা৷ তাই বাধ্য হয়েই শেষ পর্যন্ত ইকনমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাখি৷ বিয়ের পর থেকে ২০১৩ অবধি গৃহবধূ হয়ে গুরুগ্রামে আনন্দে দিন কাটছিলেন রাখী৷ জানা গিয়েছে, তাঁর দু’সন্তানও আছে৷ তবে বিয়ের পর সংসার, সন্তান সামলে যখন একটু একটু করে তাঁর স্বপ্ন গুলিতে মরতে বসেছি, তখনই তাঁর স্বামী তাঁকে পুনরায় নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দিনের পর দিন ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করতে থাকেন৷

তখন তিনি নতুন করে ফ্যাশন ডিজানিং নিয়ে চিন্তাভাবনা করা শুরু করেন৷ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরির সিদ্ধান্ত নেন৷ এই প্রসঙ্গে রাখি বলেন “যখন আমি গর্ভবতী ছিলাম, তখন আরামদায়ক ও পাশাপাশি সুন্দর দেখতে এমন কোনও পোশাক খুঁজে পাইনি৷ তাই সেই সময় ২০১৩ সালে, আমি মাতৃত্বকালীন পোশাক ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম৷’’ কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি৷ তবে এরপরেও তিনি হাল ছাড়েননি৷ বরং নিজের স্বপ্নকে পূরণ করতে ২০১৪ সালে পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ডের আরামদায়ক মাতৃত্বকালীন পোশাক তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন৷ তারপর আর পিছনে ফেলে তাঁকাতে হয়নি৷ উঠেছেন সাফল্যের শীর্ষে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *