নোটবন্দির সময় ঠিক কী অবস্থান ছিল অরুণ জেটলির?

নয়াদিল্লি: প্রয়াত কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ তাঁর প্রয়াণে দেশের অর্থনীতিতে গভীর শূন্যতা দেখা দিয়েছে৷ কারণ, তিনি একাধারে যেমন ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ, তেমনি ছিলেন দক্ষ আইনজীবী৷ ছিলেন সুবক্তা৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদও বটে৷ কিন্তু এই অরুণ জেটলির আমলেই ঘটেছিল সেই ভয়াবহ নোট বন্দির ঘটনা৷ কিন্তু জানেন কি, নোটবন্দি ইস্যুতে ঠিক কী অবস্থান নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি?

নোটবন্দির সময় ঠিক কী অবস্থান ছিল অরুণ জেটলির?

নয়াদিল্লি: প্রয়াত কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ তাঁর প্রয়াণে দেশের অর্থনীতিতে গভীর শূন্যতা দেখা দিয়েছে৷ কারণ, তিনি একাধারে যেমন ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ, তেমনি ছিলেন দক্ষ আইনজীবী৷ ছিলেন সুবক্তা৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদও বটে৷ কিন্তু এই অরুণ জেটলির আমলেই ঘটেছিল সেই ভয়াবহ নোট বন্দির ঘটনা৷ কিন্তু জানেন কি, নোটবন্দি ইস্যুতে ঠিক কী অবস্থান নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি?

নোটবন্দি ঘোষণা হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির অনুপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়৷ এই নিয়ে আসরে নামেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বর্তমানে জেলবন্দি পি চিদাম্বরম৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদির নোটবন্দির ঘোষণা সম্পর্কে কিছুই জানতে না অরুণ জেটলি৷ মোদি সরকারের নোটবন্দি নিয়ে কিছুই জানতেন না অরুণ জেটলি৷ এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর বিজেপির তরফ প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নোটবন্দি আসলে দেশের মঙ্গলের জন্য করা হয়েছে৷ বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনার জন্যই এই নোটবন্দি৷

নোটবন্দি পরবর্তী সময়ে গোটা দেশজুড়ে যখন টাকার হাহাকার দেখা দিয়েছিল, তখন একটিও মন্তব্য করেনি অরুণ জেটলি৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা আরবিআইয়ের তরফে লাগাতার বিবৃতি দেওয়া হলেও জেটলি ছিলেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়৷ এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা যায়৷ নোটবন্দির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন দেশের অর্থমন্ত্রী কোন মন্তব্য করছেন না? তাই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক৷ উঠতে থাকে প্রশ্ন৷ তাহলে কি অরুণ জেটলি নিজে চাননি যে দেশে নোটবন্দির মতো বড় সিদ্ধান্ত নেয়া হোক?

যদিও নোটবন্দি বছর দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছিলেন অরুণ জেটলি৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাল টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত৷ গত বছর ৮ নভেম্বর অরুণ জেটলি প্রকাশ্যেই জানিয়ে দেন, কালো টাকা উদ্ধারে নয়, নোট বাতিলের লক্ষ্য ছিল আদতে কর ফাঁকির রুখতে৷ সেই লক্ষ্যেই সরকার সাফল্য পেলেও বিদেশ থেকে কালো টাকা আনতে নোটবন্দি তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বলেও জানান জেটলি৷

নোটবন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অরুণ জেটলি তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, প্রতিষ্ঠানিক অর্থনীতির জন্যই সরকার যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে একটি ছিল নোটবন্দি৷ তবে সেই নোটবন্দি আদতে খুব একটা কার্যকর হয়নি বলেও মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন তিনি৷ নিজের ব্লগে জানিয়েছিলেন বিস্তারিত মন্তব্য৷ কেননা নোটবন্দির পর রিজার্ভ ব্যাংকে তথ্য দিয়েছিল, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ৯৯.৩ শতাংশ ব্যাংকে ফিরে এসেছে৷ ফলে নোটবন্দির সাফল্য নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে থাকে৷ অরুণ জেটলি ইঙ্গিত দেন, কালো টাকা উদ্ধারের জিগির তুলে নোট বাতিলের নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্ত আদতে বুমেরাং হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *