খবরের কাগজ রিসাইকেলড করে দিনে ৮০০ সাদা পাতা তৈরি করছে স্কুল পড়ুয়ারা

শাম্মী হুদা: প্রকৃতিতে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের নিজের উন্নতির পাশাপাশি প্রকৃতির উন্নয়নেও কাজ করা উচিত। সেই শিক্ষা যদি স্কুল জীবন থেকে শুরু হয় তাহলে একজন শিশুই ভবিষ্যতের দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে উঠতে পারে। শিশুদের অনুকরণ প্রিয়তা সম্পর্কে সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল, সেই শিশুকে যদি পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায় তাহলে তার থেকে ভাল

খবরের কাগজ রিসাইকেলড করে দিনে ৮০০ সাদা পাতা তৈরি করছে স্কুল পড়ুয়ারা

শাম্মী হুদা: প্রকৃতিতে বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষের নিজের উন্নতির পাশাপাশি প্রকৃতির উন্নয়নেও কাজ করা উচিত। সেই শিক্ষা যদি স্কুল জীবন থেকে শুরু হয় তাহলে একজন শিশুই ভবিষ্যতের দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে উঠতে পারে। শিশুদের অনুকরণ প্রিয়তা সম্পর্কে সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল, সেই শিশুকে যদি পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায় তাহলে তার থেকে ভাল কিছু আর হয় না। সেই দায়িত্ব যদি প্রকৃতির কল্যাণে হয় তো সোনায় সোহাগা। এমনই অভিনব কাজ করে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে বেঙ্গালুরুর শহরতলির বেসরকারি স্কুল বিদ্যাশিল্প অ্যাকাডেমি।

দৈনন্দিন জীবনে কাগজের ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী, প্রতিদিন নানা কাজে কাগজের প্রয়োজন হয়। সে খবর পড়ার জন্যই হোক। লেখালিখির জন্যই হোক বা কোনও দামি উপহার মুড়িয়ে রাখার জন্যই হোক।কাগজ ভিন্ন চব্বিশটা ঘণ্টা কাটানো একেবারেই অসম্ভব। এদিকে এত কাজে যখন জরুরি তখন কাগজের উৎপাদনও পর্যাপ্ত হওয়া উচিত,আর এই কাগজ তৈরি করতে মেশিন লাগে, মেশিন চালাতে বিদ্যুতের পাশাপাশি কাঁচা মাল হিসেবে লাগে গাছ ও জল। প্রকৃতির অকৃপণ দানে জল বা গাছের অভাব হয় না,বিদ্যুৎ শুধু কিনতে হয়। এভাবে প্রতিদিন বিরাট পরিমাণে কাগজ তৈরি হয় গোটা পৃথিবীজুড়েই। এই প্রক্রিয়ার বদান্যতায় গাছের পরিমাণ হু হু করে কমছে। সেই সঙ্গে মাটিতে থাকা জলস্তরও নেমে যাচ্ছে। বিদ্যুতের খরচও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এই প্রত্যেকটা জিনিস প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জল,গাছ কমলে দূষণ বাড়বে,প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হবে,একই সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়লেও হবে।অগ্রগতির পাশাপাশি অবক্ষয়ের দিকেও দ্রুত এগোবে সভ্যতা। বলা বাহুল্য এগিয়েছেও,তাই সুমেরুর বরফ গলছে,অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতি মানবজাতির কাছে তারএই অযথা ক্ষয়ের হিসেবে কীভাবে চাইবে আমরা জানি না। তাহলে ক্ষতি তো রোধ করার চেষ্টা শুরু করতে পারি। সেই চেষ্টাই করেছে বিদ্যাশিল্প অ্যাকাডেমি।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবহৃত কাগজকেই পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তুলছে প্রতিদিন।হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন,রিসাইকেলড। স্কুলের মধ্যেই বসেছে রিসাইকেল ইউনিট,প্রতিদিন ৪০কেজি ব্যবহৃত কাগজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যে ৮০০ নতুন পাতা তৈরি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে পেনদানি, ফাইল,স্পাইরাল ফাইল,ক্যালেন্ডার, নোটবুক,রাইটিং প্যাড,খাম,উপহারের বাক্স সবই তৈরি হচ্ছে ওই মেশিনে। স্কুলের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি রিসাইকেলড কাগজ যাচ্ছে অন্যান্য অফিসেও। বিভিন্ন সংস্থা এই কাগজগুলি স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে কিনে নিচ্ছে। এরফলে ব্যবহৃত কাগজ ডাস্টবিনে জমা হচ্ছে না, সেই সঙ্গে নতুন কাগজ তৈরিতে গাছ কাটার দরকার পড়ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যবহৃত কাগজের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবরের কাগজ সংগ্রহ করে কাঁচামালের অভাব মেটাচ্ছে।

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

বিদ্যাশিল্প অ্যাকাডেমির এই মহতি উদ্যোগে শামিল হতে বেশকিছু সংস্থা নিজেদের ব্যবহৃত কাগজ ও খবরের কাগজ এখানে পাঠিয়ে দেয়। সেগুলিই প্রতিদিন রিসাইকেলড হয়ে নতুন কাগজ তৈরি করছে। যারফলে একাধারে যেমন বিদ্যুতের খরচ বেঁচে যাচ্ছে,তেমনই গাছকাটার দরকার পড়ছে না, জলের খরচ বাঁচছে। বরং কাগজ ও অন্যান্য রিসাইকেলড সামগ্রী বিক্রি করে যে আয় হচ্ছে তার একটা বড় অংশ বেঙ্গালুরুর দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করছে বিদ্যাশিল্প অ্যাকাডেমি। এই উদ্যোগকে শুধু প্রশংসনীয় বললেই হবে না। শিশুদের ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতেও বড় ভূমিকা পালন করছে স্কুল। এমন একটা সময় আসছে যখন দূষণ রোধ করাটা মূল উপজীব্য হয়ে উঠবে, ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে এই শিশুরা সেকাজে দক্ষই হয়ে উঠবে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =