খালি গায়ে, বাটি হাতে রাজপথে মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাফন আন্দোলন

খালি গায়ে, বাটি হাতে রাজপথে মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাফন আন্দোলন

 

কলকাতা: টানা একমাস ধরে চলছে আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকদের আন্দোলন৷ বুধবার আন্দোলনে গতি আনতে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে খালি গায়ে মিছিল করলেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজড আন্এডেড  মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন তরফে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পাক সার্কাস ব্রেবন স্কুল থেকে শুরু করে সিআইডি রোড হয়ে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয় রামলীলা ময়দানে৷ এদিন খালি গায়ে বাটি হাতে শহরের রাজপথে বসে  বিক্ষোভে সামিল হন তারা৷

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকেরা৷ ১৬ জানুয়ারি থেকে অনশনও শুরু করেন তারা৷ অনশন আন্দোলন করতে গিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাসিক বেতন ও ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল সহ সমস্ত সরকারী সুযোগ সুবিধার দাবিতে অনশন আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা৷ 

সোমবার তাদের এই আন্দোলনে যান সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম৷ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি৷ এর আগেও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাদের আশ্বাস দেন এবং আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান৷ তবে এবার আন্দোলনে অনড় শিক্ষকেরা৷ আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্য সরকার স্বীকৃত ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের মাসিক বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে মাদ্রাসার সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর মিড ডে মিল, পোষাক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে৷

এখনও পর্যন্ত একজন অনশনরত শিক্ষিকা গুরুতর অবস্থায় বিধাননগর হসপাতালে ভর্তি আছেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক পলাশ রোম বলেন, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত আমাদের বেতনের জিও ঘোষণা না করে, তাহলে আমাদের অবস্থান অনশন আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের মিছিল-আন্দোলন চলতেই থাকবে৷ এই আন্দোলন আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ বঞ্চনা প্রকাশ্যে আনবে৷ রাজ্য সভাপতি সেখ জাভেদ মিঞাদাদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বেতনের জিও ঘোষণা করতে যত দেরি করবেন তত আমাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়বে। প্রয়োজনে আমরা আগে থেকে আমরা কোনও খবর না দিয়েই বিভিন্ন অভিযানে নামবো। যা এই সরকারকে প্রতি মুহূর্তে বিড়ম্বনায় ফেলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *