রিয়ার দাবি করা চিঠিতে হাতের লেখা সুশান্তের নয়! ঘনাচ্ছে নতুন রহস্য

সুশান্তের মৃত্যু মামলায় এবার হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট বা হাতের লেখা বিশেষজ্ঞের মতামত সামনে এল। সম্প্রতি সুশান্তের হাতে লেখা একটি 'গ্র্যাটিচিউড লিস্ট' প্রকাশ করেন রিয়া চক্রবর্তী। এর আগে সুশান্তের '৫০ ড্রিমস' নিয়ে লেখা ডায়েরির কিছু পৃষ্ঠা সামনে এসেছিল। আর এই দুই হাতের লেখার মধ্যে একাধিক শব্দে ফারাক পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

মুম্বই: সুশান্তের মৃত্যু মামলায় এবার হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট বা হাতের লেখা বিশেষজ্ঞের মতামত সামনে এল। সম্প্রতি সুশান্তের হাতে লেখা একটি 'গ্র্যাটিচিউড লিস্ট' প্রকাশ করেন রিয়া চক্রবর্তী। এর আগে সুশান্তের '৫০ ড্রিমস' নিয়ে লেখা ডায়েরির কিছু পৃষ্ঠা সামনে এসেছিল। আর এই দুই হাতের লেখার মধ্যে একাধিক শব্দে ফারাক পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিছুদিন আগে রিয়া চক্রবর্তী তাঁর ডায়েরির একটি পাতা প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে ইংরেজিতে লেখা ছিল কয়েকটি লাইন। তার মাথায় হেডলাইন হিসেবে লেখা ছিল 'গ্র্যাটিচিউড লিস্ট'। রিয়ার দাবি হাতের লেখাটি সুশান্ত সিংহ রাজপুতেরই। সুশান্তই নাকি লিখেছেন, তিনি তাঁর জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তাঁর জীবনের 'বেবু', 'লিল্লু', 'স্যার', 'ম্যাম'-এর জন্যও কৃতজ্ঞ। পোষ্য কুকুর ফাজের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুশান্ত। রিয়ার দাবি সুশান্তের লেখা এই 'বেবু' হলেন তিনি নিজে। 'লিল্লু' তাঁর ভাই সৌভিক। সুশান্ত তাঁরই বাবা ও মাকে 'স্যার' এবং 'ম্যাম' বলে ডাকতেন। এছাড়া সুশান্তের ব্যক্তিগত জিনিসের মধ্যে 'ছিছোড়ে' লেখা একটি জলের বোতল তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানান রয়েছে রিয়া।

কিন্তু হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই সুশান্তের এই দুই লেখার মধ্যে খানিকটা পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুটি লেখার 'I' এবং 'M' এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ফলে এই 'গ্র্যাটিচিউড লিস্ট'টা সত্যি সুশান্ত সিং রাজপুতের লেখা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেকে আবার বলছেন যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও এই লেখার ধরনটি সুশান্তের মতোই। তাই একই সুশান্তের লেখা নয় এমনও বলা যাবে না। হয়তো সময়ের সাথে সাথে সুশান্তের হাতের লেখার পার্থক্য এসেছে। তাই দুই লেখার মধ্যে কোনও কোনও শব্দ আলাদা রকম লেখা হয়েছে। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনও বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। পুলিশ বা সিবিআইয়ের তরফেও এখনও অভিনেতার হাতের লেখা সরকারি কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের করেছেন রিয়া। মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। মিডিয়া ট্রায়াল ছাড়া আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে রিয়ার। তাঁর অভিযোগ, বিহার পুলিশ যেভাবে তদন্ত চালাচ্ছে তা নাকি বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী হচ্ছে না। এমনকী বিহার পুলিশ যে সিবিআইয়ের হাতে মামলা তুলে দিয়েছে তাও বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বলে দাবি রিয়ার। বরং বিহার পুলিশের উচিত ছিল মামলাটি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *