তখনও জীবনে আসেনি কেট, প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে প্রেম জমেছিল ব্রিটনি স্পিয়ার্সের!

তখনও জীবনে আসেনি কেট, প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে প্রেম জমেছিল ব্রিটনি স্পিয়ার্সের!

লন্ডন:  তখনও ডাচেস অফ কেমব্রিজ কেট মিডলটনের সঙ্গে দেখা হয়নি প্রিন্স উইলিয়ামের৷ তখন তিনি কৈশরে৷ সেই সময় নাকি তাঁর সঙ্গে প্রেম জমে উঠেছিল আমেরিকার বিখ্যাত সঙ্গীত-শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের৷ তাঁদের মধ্যে চলত ই-মেল চালাচালি৷ সেই গোপন প্রেমের কিসসা আচমকাই ফাঁস করলেন ব্রিটনি৷ কৈশোরে উইলিয়ামের সঙ্গে তাঁর এই রসায়ন জমে উঠেছিল অনলাইন চ্যাটে। ব্রিটনির কথায় ‘সাইবার রিলেশন’৷ 

আরও পড়ুন- জ্যাকলিন-নোরারই নন, ২০০ কোটি তছরুপে অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল চার অভিনেত্রীর!

একইসঙ্গে, ফ্রাঙ্ক স্কিনারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা এও জানিয়েছিলেন, প্রিন্স অফ ওয়েলস লন্ডনে থাকাকালীন তাঁকে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি৷ তখন তাঁর বয়স ২০৷ কিন্তু প্রিন্স আসেননি। ব্রিটনির কথায়, “আমরা বেশ কিছুটা সময় ইমেলে নিজেদের মনের কথা আদানপ্রদান করেছি৷ কিন্তু আমাদের দেখা করা হয়ে ওঠেনি।”  বহু পুরুষ হৃদয়ে কামনা-বাসনার প্রতিমূর্তি ব্রিটনিকে তবে উপেক্ষা করেছিলেন রাজপুত্র?  এই প্রশ্নে গায়িকার জবাব, “ঠিক তাই।” এর পর অবশ্য নিজের জীবনে এগিয়ে যান গায়িকা৷ বিখ্যাত গায়ক জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ‘টক্সিক’ গায়িকা। তবে সে প্রেমও টেকেনি৷ ২০০২ সালের শেষ দিকে সম্পর্কে ইতি পড়ে। 

এদিকে, সেই সময় কাছে আসতে শুরু করেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস কেট৷ তাঁরা দু’জনেই ছিলেন স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী৷ বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে প্রেম আসে তাঁদের জীবনে। ২০০৭ সালে তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে দু’মাসের ছোট্ট বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আবার এক স্রোতে মেলে তাঁদের পথ৷ 

২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল, সারা বিশ্বের মানুষকে সাক্ষী রেখে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন উইলিয়াম-কেট। তিন সন্তান নিয়ে এখন সুখের সংসার তাঁদের৷ বড় ছেলে প্রিন্স জর্জের বয়স ৯, প্রিন্সেস শার্লট ৭ এবং প্রিন্স লুই-এর বয়স ৪৷ অন্য দিকে দুই সন্তান জেডেন এবং শনের মা ব্রিটনি তৃতীয় বিবাহবিচ্ছেদের পর একাই রয়েছেন৷