কাজে এল না ‘আবেগ’, পরাজিত আনিসের দাদা-মামা, বগটুইয়েও উড়ল সবুজ আবির

কাজে এল না ‘আবেগ’, পরাজিত আনিসের দাদা-মামা, বগটুইয়েও উড়ল সবুজ আবির

কলকাতা: সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের কাছে অন্যতম অস্বস্তির ঘটনা ছিল-আনিস খানের মৃত্যু ও বগটুই-কাণ্ড। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর প্রশ্ন উঠেছিল,  তবে কি এই দুই ঘটনার প্রভাবে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আস্থা হারাচ্ছে ঘাসফুল শিবির? এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব এখনও মেলেনি। পঞ্চায়েত ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বহু এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ’ দেখা গিয়েছে। তবে ভোটের ফলে এই সব জায়গায় একচেটিয়া ভাবে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে সেই ফলাফল নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছে৷ কারণ, বহু জায়গায়া দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে৷ হয়েছে মৃত্যু৷ তবে এত কিছুর মাঝেও তৃণমূলকে স্বস্তি এল দিল আমতা এবং বগটুই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুই জায়গাতেই বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অস্ত্র করেছিল ক্ষতিগ্রস্তদের। তবে সেই আবেগের প্রতিফলন ভোট বাক্সে দেখা গেল না৷ 

গতবছর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু হয়েছিল আনিস খানের৷ আনিসের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে৷ মামলাও হয়। এবার পঞ্চায়েতে আনিসের দুই আত্মীয়কে টিকিট দিয়েছিল সিপিএম। তবে সেই দু’জনই হেরে যান। জানা গিয়েছে, আমতা-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর আসনে সিপিএমের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন আনিসের দাদা সামসুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের কলিম আলি খানের কাছে পরাজিত হন৷ আনিসের মামা, সাবির খানও সিপিএমের টিকিটে আমতা-২ ব্লকের কুশবেড়িয়ার ১৯৬ নম্বর বুথে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনিও তৃণমূল প্রার্থী তথা বোর্ডের বিদায়ী উপপ্রধান হাসেম খানের কাছে পরাজিত৷

গতবছরই মার্চ মাসে বীরভূমের বগটুইতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল অন্তত ৯ জনকে। এই ঘটনা ছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। সেই মিহিলালের পরিবার থেকে কয়েক জনকে এ বছর পঞ্চায়েতে টিকিট দেয় বিজেপি৷ কিন্তু তাঁরা কেউই জিততে পারেননি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *