সাজনা হ্যায় মুঝে… সাজসজ্জার খরচ পাঁচ হাজার কোটি!

সাজনা হ্যায় মুঝে… সাজসজ্জার খরচ পাঁচ হাজার কোটি!

কলকাতা: সাজনা হ্যায় মুঝে সাজনাকে লিয়ে..৷ প্রিয়মানুষের জন্যই সাজুন কিংবা নিখাদ মনের সখ পুরণে, সাজগোজের প্রতি নারীর যে অমোঘ টান, তা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ তাই সাজ-সজ্জা-প্রসাধনী মাস্ট৷ কবি যতই বলুন না কেন – আঁখির পাতা যেমন আছে এমনি থাকা ভালো৷ কাজল দিতে প্রদীপখানি মিথ্যা কেন জ্বাল? .. এসো হেসে সহজ বেশে, নাই বা হল সাজ৷ তবে সে কবির কথা৷ তিনি কলমের খোঁচায় কল্পনার মায়াজাল বুনতেই পারেন৷ তা বলে সত্যিকারে কি সাজতে মানা? তেমনটা তো বলা নেই৷ 

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে ভারতের প্রধান ১০ শহরে ১০ কোটির বেশি প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি হয়েছে৷ ক্রেতারা সাজসজ্জার সরঞ্জাম কিনতে খরচ করেছেন পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি৷ এরা মূলত কর্মরত মহিলা৷ দেখা গিয়েছে, মোট কসমেটিক্সের মধ্যে ৪০ শতাংশ পণ্যই তাঁরা কিনেছেন অনলাইনে৷ মার্কেট রিসার্চ সংস্থা ‘ক্যান্টার ওয়ার্ল্ডপ্যানেল’ ভারতের প্রসাধনী ক্ষেত্র নিয়ে এমনই রিপোর্ট পেশ করেছে৷ 

ক্যান্টার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু অনলাইন নয়, অফলাইনেও কসমেটিক্সের খরিদ্দারের সংখ্যা কম কিন্তু নয়৷ তবে দেখা গিয়েছে মূলত কর্মরত মহিলারা অনলাইন এবং অফলাইন, এই দুই মাধ্যমেই কেনাকাটা করে থাকেন৷ খরচের হিসাব কষতে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের গড় ব্যায়ের তুলনায়১.৬ গুণ বেশি খরচ করেছেন ‘ওয়ার্কিং উইমেনরা’৷ 

বাঙালির সাজসরঞ্জামের ঝুলিতে বহু দিন ধরেই স্থায়ী বাস লিপস্টিকের৷ পান খেয়ে ঠোঁট রাঙানোর দিন সেই কবেই ফুরিয়েছে৷ এর পাশাপাশি নেইল পলিশ, কাজল, আইলাইনার, মাস্কারা ইত্যাদিও একে একে এসে বসেছে৷ তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এসবের পাশাপাশি এখন ক্রেতাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ত্বকের প্রসাধনী৷ এক্ষেত্রে কারও পছন্দ বিদেশি ব্র্যান্ডের দোকান৷ কেউ আবার ভরসা রাখছেন অনলাইনে৷ কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, যে প্রাইমার, কনসিলার, কালার কারেক্টর বা হাইলাইটারের নাম কয়েক বছর আগেও অনেকের অজানা ছিল, সেগুলোই আজ ব্যবহার হচ্ছে প্রতিদিনের মেকআপে৷ অফিসে বা পার্টিতে যাওয়ার আগে, ত্বককে উজ্জ্বল করে নিচ্ছেন এই সব প্রসাধনী৷ সঙ্গে ফাউন্ডেশন, আই শ্যাডো তে আছেই৷ 

রেনে কসমেটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা আশুতোষ ভালানির কথায়, ভারতীয় নারীরা কাজল, লিপস্টিকের মতো চিরাচরিত প্রসাধনীর জমানা পেরিয়ে প্রাইমার, আই শ্যাডো, কনসিলারের জগতে ঢুকে পড়েছে৷ শুধু বিশেষ অনুষ্ঠানেই নয়, এসব প্রসাধনীর ব্যবহার হচ্ছে দৈনন্দিন প্রয়োজনে৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *