কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে রাজ্য৷ সুন্দরবন, দিঘা সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে বাড়তি সতর্কতা৷ কিন্তু কোন পথে এগোবে সাইক্লোন? সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷ এর কতটাই বা প্রভাব পড়বে বাংলায়? মোকা নিয়ে এবার বড়সড় আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মঙ্গলবার বিকেলেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। রাতের মধ্যেই তা গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। গতকাল রাত পর্যন্ত এর অবস্থান ছিল দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায়৷ রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নিম্নচাপ ছিল পোর্ট ব্লেয়ারের থেকে পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ৫১০ কিমি দূরে।
বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় মোকা৷ প্রাথমিক ভাবে সেটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার মোকা বাঁক নেবে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। তার পর সেটি বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের অভিমুখে এগিয়ে যাবে। ১৪ মে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। ফলত বাংলায় মোকার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতি ১৬০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। আজ থেকেই বঙ্গোপসাগরের ওপর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং সংলগ্ন এলাকায় ১০০ কিমির বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এই মুহূর্তে বঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী শুক্র এবং শনিবার উপকূলের তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে৷ কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের দুই জেলা মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহ চলবে। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে৷ এছাড়া উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাতেও চলবে বৃষ্টি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>