হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু যাদবপুরের পড়ুয়ার, উঠছে ব়্যাগিং-এর অভিযোগ

মৃত্যুর আগে ফোন করে বলেছিলেন, ‘মা আমি ভালো নেই’

 কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্য মৃত্যু৷ মূল ছাত্রাবাসের দোতলার ঝুল-বারান্দা থেকে পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে উঠে আসছে ব়্যাগিং-এর অভিযোগ৷ কারণ, মৃত্যুর আগে বুধবার রাতেও মাকে ফোন করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ভাল নেই। খুব ভয় করছে তাঁর। মাকে তাড়াতাড়ি আসতেও বলেছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। কিন্তু মায়ের আসার আগেই সব শেষ৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন স্বপ্নদ্বীপের মামা অরূপ কুণ্ডু। সেই সঙ্গে ভাগ্নের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে ‘র্যা গিং’-এর অভিযোগ করলেন তিনি। এই মর্মে যাদবপুর থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। স্বপ্নদ্বীপের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে তৈরি করেছেন নিজস্ব কমিটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১১টা ৪৫ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ‘এ’ ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে ‘কোনও ভাবে’ পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। আত্মহত্যা করেছেন কি না, সেই নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ তাঁর মামা। 

পড়ে যাওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে  নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে শেষরক্ষা হয়নি। ভোর ৪টে নাগাদ মারা যান স্বপ্নদ্বীপ। নদীয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা স্বপ্নদীপ বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে তাঁর সহপাঠী ও পরিবারের কথায় আত্মহত্যার কোনও পূর্ব লক্ষণ মেলেনি। তবে কয়েকজন পড়ুয়া ও এক অধ্যাপকের ফেসবুক পোস্টে জোরালো হয়ে উঠেছে র্যাাগিংয়ের তত্ত্বটি। ওই অধ্যাপকের দাবি, ক্রমাগত র্যা গিং সহ্য করতে না পেরেই প্রাণ হারিয়েছেন স্বপ্নদীপ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 2 =