‘বাঁধাধরা নিয়মে পড়াশোনা করিনি, ইচ্ছে হলে পড়তাম’, বড় হয়ে কী হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড়?

‘বাঁধাধরা নিয়মে পড়াশোনা করিনি, ইচ্ছে হলে পড়তাম’, বড় হয়ে কী হতে চায় মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড়?

কলকাতা: ঘড়িতে ঠিক ৯টা৷ সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এবার মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন৷ ৭০০-র মধ্য তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় চন্দ্রচূড়৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে সে জানিয়েছে, বাঁধাধরা কোনও নিয়মে কখনও পড়াশোনা করেনি সে। তবে নিয়মিত ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। সারা দিনে আলাদা ভাবে পড়াশোনার সময় বাঁধা থাকত না৷ পড়াশোনার পাশাপাশি সমান তালে চলত আবৃত্তি, গল্পের বই পড়া, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা৷ কত ক্ষণ পড়াশোনা করত সে? চন্দ্রচূড়ের কথায়, ‘‘পড়াশোনার জন্য বাঁধাধরা সময় ছিল না৷ যখন ভাল লাগত তখনই পড়তাম।’’ ভবিষ্যতে নিট ইউজি-তে উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে। চন্দ্রচূড় বলে, ‘‘আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। আমার মা-বাবাও চান আমি একজন চিকিৎসক হই। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই আমি এগিয়ে যাব।’’ 

ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত চন্দ্রচূড়ের বাবা-মা৷ তাঁর বলেছেন, ছেলে পরীক্ষায় ভাল ফল করবে সেটা জানতাম৷ তবে প্রথম দশে আসবে সেটা ভাবতে পারিনি। বাবা সুশান্ত সেন বলেন, বড় হয়ে ও ডাক্তার হবে৷ এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে চন্দ্রচূড়কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *