অর্থাভাবে ছেড়েছিলেন স্কুল, ছ’মাসের মধ্যে ২৫ কোটির মালিক! এখন কোটিপতি হওয়ার পাঠ দেন এই তরুণী!

অর্থাভাবে ছেড়েছিলেন স্কুল, ছ’মাসের মধ্যে ২৫ কোটির মালিক! এখন কোটিপতি হওয়ার পাঠ দেন এই তরুণী!

 কলকাতা:  পরিস্থিতির চাপে মাঝপথেই পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২০৷ সে ভাবে বড় কোনও ডিগ্রিও ছিল না ঝুলিতে৷ কিন্তু সঙ্গে ছিল বরাতের জোর৷ তাই তো স্কুল ছাড়ার ছ’মাসের মধ্যেই ৩০ লক্ষ ডলার উপার্জন করে ফেললেন ইনায়া ম্যাকমিলা নামের এক তরুণী। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা৷ ভাবছেন তো এ কী ভাবে সম্ভব? তাহলে শুনতে হবে ইনায়ার কাহিনি৷ 

ইনায়ার বয়স এখন ৩১। বাড়ি আমেরিকার মিসৌরির সেন্ট লুইসে। সম্প্রতি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে নিজের জীবন বদলের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। তাঁর দেখানো পথে হেঁটে কী ভাবে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করা যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন এই তরুণী৷ ইউটিউবে পোস্ট করা ন’মিনিটের এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ৯ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন।

ভিডিয়োতে ইনায়া শূন্য থেকে তাঁর উত্তরণের কাহিনী শুনিয়েছেন৷ তিনি জানান, স্কুল ছাড়ার পর স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং শেয়ার বাজারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা তেমন ফলপ্রসু হয়নি৷ এর পর অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন৷ সেখান থেকেই ঘুরে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা৷ শুরু হয় মা লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষণ।

ইনায়া জানিয়েছেন, তিনি যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হন, সেটি আর পাঁচটা সংস্থার মত নয়৷ এই সংস্থা শহরে বাইরে থেকে আগত অতিথিদের থাকার বন্দোবস্ত করে। এ ছাড়াও যাঁরা কিছু দিনের জন্য নিভৃতে কাটাতে চান, বিশেষ করে যে যুগলরা নিজেদের মতে করে সময় কাটাতে চান— তাঁদের জন্য অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল ঘরের ব্যবস্থা করাই তাদের কাজ৷

কেউ যদি ওই সংস্থায় নিজের বাড়ি নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে সংস্থার তরফে সেখানে থাকার জন্য লোক পাঠানো হবে। ভাড়া দিয়ে যে আয় হবে, তার একটা অংশ সংস্থার তরফে কেটে নিয়ে বাকি টাকাটা তুলে দেওয়া হবে বাড়ির মালিককের হাতে। এই সংস্থায় যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই প্রায় ২৫ কোটি টাকার মালিক হন বছর ২১-এর  ইনায়া।

 

 

তাঁর কথায়, ‘‘আমি যখন ওই সংস্থার মাধ্যমে বাড়ি ভাড়া দিতে শুরু করি, তখন আমার হাত ছিল শূন্য। সম্বল ছিল একটি মাত্র বাড়ি৷ কিন্তু এখন আমার কাছে ওই ধরনের ১১টি ঘর রয়েছে। যেগুলি আমি সংস্থার মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে থাকি।’’ ইনায়া আরও বলেন, ‘‘আমি যখন পড়াশোনা ছেড়েছিলাম, তখন সবাই আমাকে করুনার চোখে দেখত। কেউ তেমন পাত্তা দিত না। কিন্তু আমি যখন টাকা রোজগার করতে শুরু করি, তখন সকলে আমার কদর করতে শুরু করল। সবাই এটা ভেবেই অবাক হত যে, ২০ বছরের এক তরুণী কী ভাবে এত টাকা রোজগার করছে।’’

 

ইনায়ার সাফল্যে অনেকেই অনুপ্রাণিত৷ বহু মানুষ অর্থ উপার্জনের আশায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ তাঁর ব্যবসায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কী ভাবে সহজে টাকা রোজগার করা যায়, সেই ‘টোটকা’ জানতেও মরিয়া হন তাঁরা। মানুষের মধ্যে এই উৎসাহ দেখার পরই ইনায়া সিদ্ধান্ত নেন, তিনি ইচ্ছুকদের সৎ ভাবে অর্থ উপার্জনের বুদ্ধি শেখাবেন। আর সেই উদ্দেশেই খুলে ফেলেন একটি কোচিং সেন্টার৷ এখন ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ করেন তিনি।
 

ইনায়া জানান, ব্যবসা থেকে এক মাসে ষাট হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত উপার্জন হয়েছে তাঁর। ২০২২ সালের জুন মাসে তিনি প্রথম এক লক্ষ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৮০ লক্ষ টাকা) মালিক হন। তার পর থেকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ইনায়ার উপার্জন৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *