করোনা যুদ্ধে জয়ী সৌমিত্র, প্রশ্নের উত্তরে সাড়া দিচ্ছেন ‘উদয়ন পণ্ডিত’

কলকাতা: যমে মানুষে টানাটানির পর অবশেষে স্বস্তি। করোনা মুক্ত হলেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার রাতে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তখনই জানা যায় মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বুধবার সকালেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁর বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

 

কলকাতা: যমে মানুষে টানাটানির পর অবশেষে স্বস্তি। করোনা মুক্ত হলেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার রাতে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তখনই জানা যায় মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বুধবার সকালেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁর বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশন সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর জ্বর হয়নি। তবে এখনও তিনি বিভ্রান্তিকর অবস্থায় রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তিনি সাড়া দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে চোখ খুলছেন। কথার উত্তরে সাড়া দিচ্ছেন তিনি। অভিনেতার এক প্রবীণ চিকিৎসক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “গত ৪৮ ঘণ্টার তুলনায় আজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন কথা উত্তরে সাড়া দিচ্ছেন এবং মাঝে মাঝে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চোখ খুলছেন।” সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তাঁর বেদনাদায়ক অবস্থা অব্যাহত রয়েছে। তবে, তাঁর কিডনি, যকৃতের কার্যকারিতা, রক্তে অ্যামোনিয়া স্তর, সংক্রামক শ্লেষ্মা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। তাঁর কার্ডিয়াক ফাংশন, রক্তচাপ, শ্বসন এবং প্রস্রাবেরও উন্নতি করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “আমরা তাঁকে সামান্য অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েছি এবং মাঝে মধ্যে সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে বিআইপিএবি সাপোর্ট দিয়েছি। তিনিও চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিয়েছেন।” 

গত শনিবার থেকেই অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জ্বর আসে তাঁর। হালকা করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সোমবার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তখনই জানা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেতা। মঙ্গলবার বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনা ধরা পড়ে। মিন্টো পার্ক এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বয়সের কারণে ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ১৬ জন চিকিৎসক তাঁকে দেখছেন। করোনার পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। স্নায়ুর সমস্যা শুরু হয়েছিল তাঁর। এছাড়া তাঁর ফুসফুসের অবস্থা নিয়েও চিন্তিত ছিলেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া ক্যানসারও এই ক্রমশ শরীরে ছড়িয়ে পড়ছিল মস্তিষ্কে এবং ফুসফুসে। তবে দ্বিতীয় প্লাজমা থেরাপির পর তিনি কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হয়েছিলেন। আর বুধবার রাতে জানা গেল করোনা মুক্ত হয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *