১০ লক্ষ টাকা!আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

১০ লক্ষ টাকা!আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

কলকাতাশুধু মেধা বা যোগ্যতা থাকলেই হয়না, আপনার সন্তানকে পড়াশোনা করানোর টাকাটা আসবে কোথা থেকে? এবার সেই চিন্তার দিন শেষ। এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডই করবে মুস্কিল আসান। কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন? কী কী পড়াতে পারবেন সন্তানকে? কত টাকাই বা পাবেন? এই ঋণে গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে কে? পুরোটা জানুন।

আর্থিক সংকটে পড়লেও বাঁচাবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। এক, দুই নয়; রীতিমতো পাওয়া যাচ্ছে ১০ লক্ষ টাকার ঋণ। আসলে কিছু ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় তা সব সময় সবার পক্ষে বহন করার সামর্থ্য হয় না। কিন্তু টাকার জন্য যাতে কারও পড়াশোনা না বন্ধ হয়ে যায় সেই লক্ষ্যে ২০২১ সালের ৩০ জুন রাজ্যে চালু করা হয় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। যারা এটা সম্পর্কে জানেন না, তারা শুনলে অবাক হবেন যে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে পড়ুয়াদের যে ঋণ দেওয়া হয় তার গ্যারেন্টার হিসাবে থাকে রাজ্য সরকার। তবে অনেকেই একটা বিষয়ে কনফিউজড যে কোন কোন পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায়? দেখুন বিভিন্ন স্তরের পড়াশোনার জন্য এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ঋণ নেওয়া যায়। যেকোনও স্বীকৃত বোর্ডের অধীনে কোনও প্রতিষ্ঠানে সেকেন্ডারি লেভেল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত এর সুবিধা পাওয়া যায়। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ছাড়াও দেশ-বিদেশের কোনও স্বীকৃত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল বা পোস্ট ডক্টরাল স্তরের পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য কোনও পড়ুয়া এর সুবিধা পাবেন। এছাড়াও কোনওরকম প্রোফেশনাল ডিগ্রি বা সমতুল্য কোর্সের খরচের জন্যেও এই কার্ড থেকে ঋণ নেওয়া যায়। তবে, এটা জানা খুব জরুরী যে কারা বেসিক্যালি এই সুবিধা টা পাবেন? মনে রাখবেন এই প্রকল্পে যারা ঋণ নিতে চাইছেন তাদের অন্তত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। দশম শ্রেণীর পড়ুয়া থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের সুবিধা পাওয়া যাবে। আর কত দিনের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে?

এই ক্ষেত্রে যে ঋণ নেওয়া হয়, তাতে সুদের হার মাত্র ৪ শতাংশ। ঋণ শোধ করার জন্য ১৫ বছর সময় দেওয়া হয়। তবে আগেও এই ঋণ মেটানো যায়। আগে ঋণ মেটালেও পেনাল্টি চার্জ লাগে না। এই লোনের জন্য কোনও প্রসেসিং ফিও লাগে না। তবে অবশ্যই আবেদনের জন্য সঙ্গে রাখবেন যিনি বা যে পড়ুয়া আবেদন করছেন তার আধার এবং মাধ্যমিককের রেজিস্ট্রেশনের কপি, আবেদনকারী এবং তাঁর বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের রঙিন ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর এবং ই-মেল আইডি, আবেদনকারী এবং তাঁর বাবা-মা বা আইনি অভিভাবকের প্যান কার্ডের কপি এবং বাসস্থানের প্রমাণ পত্র। এছাড়াও যে কোর্স-এ ভর্তি হওয়া হয়েছে এবং তার ফি সংক্রান্ত নথিও জমা দিতে হবে। অফলাইন ছাড়া অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। তাই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ভরসা রাখুন স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে। এবং অসময়ে আপনার ইনভেস্টমেন্ট থেকে ভালো রকম রিটার্ন পেতে বিনিয়োগ করুন স্টক মার্কেটে। ফ্রিতে হাতে কলমে শেয়ার বাজার শেখার জন্য ফোন করুন ৯০৯৩২১১২১১ এই নম্বরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *