কলকাতা: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য৷ এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আসে কলেজে শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ৷ এ বার বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রেও অস্বচ্ছতা ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠল৷ সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। তন্দ্রিমা চৌধুরী নামে এক জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তথা অধ্যক্ষপদ প্রার্থী মামলাটি করেছেন৷ চলতি সপ্তাহেই সেই মামলার শুনানি হতে পারে৷
আবেদনকারীর অভিযোগ, নিয়ম না-মেনে মেধা-তালিকা তৈরি করে অযোগ্যদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে তাঁদের। মেধা-তালিকার শীর্ষে থাকা ওই ব্যক্তিদের মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়োগের দায়িত্বে থাকা সিএসসি বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই যোগ্য প্রার্থীদের টপকে মেধা-তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন ওই প্রার্থীরা।
অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজে দশ বছর শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, উচ্চ মানের পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশ, এপিআই বা অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অধ্যক্ষপদে নিয়োগের জন্য মেধা-তালিকা প্রস্তুত করা হয়৷ কিন্তু যে মেধা-তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কে কোন বিষয়ে কত পেয়েছেন এবং মোট কত নম্বর পেয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়নি। কাউন্সেলিং পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের শিক্ষকদের পিছনে ফেলে কী ভাবে বেসরকারি কলেজের শিক্ষকরা অধ্যক্ষ নিয়োগের তালিকায় জায়গা করে নিলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। হাই কোর্ট সূত্রে খবর, তন্দ্রিমার অভিযোগ, তাঁর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন এক ব্যক্তি মেধা-তালিকার শীর্ষে স্থান পেয়েছেন৷ এই দুর্নীতি মামলায় সরাসরি নাম জড়িয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করের।
মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দীপক কর বলেন, ‘‘কী মামলা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানি না। তাই মামলা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>