অবসাদ কমাতে পারে মোবাইল অ্যাপ, দাবি গবেষকদের

ওয়াশিংটন: প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে গত কয়েক বছরে ক্রমশ ‘অ্যাপ-নির্ভর’ হয়ে উঠেছে মানুষ। ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’, সবই এখন অ্যাপের মাধ্যমে নিমেষের মধ্যে করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু, জটিল মানসিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যে এইধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিশেষ কার্যকরী, তা হয়তো মানতে চাইবেন না অনেকেই। তবে, না মেনেও উপায় নেই। সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক এমনই

অবসাদ কমাতে পারে মোবাইল অ্যাপ, দাবি গবেষকদের

ওয়াশিংটন: প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে গত কয়েক বছরে ক্রমশ ‘অ্যাপ-নির্ভর’ হয়ে উঠেছে মানুষ। ‘জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ’, সবই এখন অ্যাপের মাধ্যমে নিমেষের মধ্যে করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু, জটিল মানসিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যে এইধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিশেষ কার্যকরী, তা হয়তো মানতে চাইবেন না অনেকেই। তবে, না মেনেও উপায় নেই। সম্প্রতি একদল মার্কিন গবেষক এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ইন্টারনেট নির্ভর, স্বচালিত বিভিন্ন থেরাপি প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ্লিকেশন মানসিক হতাশা, বিষণ্ণতা বা অবসাদ কাটাতে সত্যি কার্যকরী ভূমিকা নেয়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব মেডিক্যাল ইন্টারনেট রিসার্চে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৪ হাজার ৭৮১ জনের উপর আগে থেকে করে রাখা ২১টি সমীক্ষার পুনর্মূল্যায়ণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। বিশেষ করে সিবিটি-নির্ভর বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপগুলির ওপরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল এই গবেষণায়। কী এই সিবিটি? মনোবিদরা জানিয়েছেন, মানুষের বোধশক্তি ও আচরণগত সমস্যার চিকিৎসায় যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি (সিবিটি)। এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিন্তার ধরন ও আচরণে সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে অবসাদের লক্ষ্মণগুলিকে নির্মূল করা হয়। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই চিকিৎসাপদ্ধতি গ্রহণ করলে তাকে বলা হয় আইসিবিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *