তিয়াষা গুপ্ত: আইপিএস অফিসার, কেউ আবার আইএএস। দেশের কাজে প্রতিদিন এঁদের পাওয়া যায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নততর সমাজ উপহার দিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ১০ সরকারি আধিকারিক। নিজেদের কর্তব্যের বাইরে বেড়িয়ে আরো কিছু করার তাগিদে এঁরা অনন্য।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হর্ষ পোদ্দার, আইপিএস
অক্সফোর্ড থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। প্রাক্তন আইনজীবী হর্ষ পোদ্দার দেশে ফিরে আইপিএস অফিসার হয়ে নতুন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন এক বিশেষ প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে। `ইউথ পার্লামমেন্ট চাম্পিয়নশিপ‘ –এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রর ১৮ টি জেলায় ২০০০ যুবককে নিয়ে বিশেষ সচেতনতা অভিযান শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার। নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকেছন। আইন রক্ষার যে মহান যজ্ঞ তাঁর কাঁধে, তাকে আরো অনেক দূর ছড়িয়ে দিয়েছেন এই আইপিএস অফিসার।
নিখিল নির্মল, আইএএস
আইএএস অফিসার নিখিল নির্মল আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক। সরকারের কাজের ধারা কীভাবে গরিব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় তা দেখিয়েছেন তিনি। বিনা মূল্যের শিক্ষার বিশেষ মডেল চালু করেছেন। যার ফলে গত ৩ মাসে ৭৩ টি স্কুলে ২০ হাজার ছাত্র উপকার পেয়েছে। এছাড়া তাঁর আরো একটি উল্লখযোগ্য পদক্ষেপের নাম `আপনার বাগানে প্রশাসন ‘।
রিমা রাজেশ্বরী, আইপিএস
আইপিএস রিমা রাজেশ্বরী প্রায় ১২০০ নাবালিকাকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে উদ্ধার করে অকালে বিয়ে হওয়া আটকেছেন। শুধু তাই নয়, শিশুপাচার রুখে দিতে তাঁর অবদান সারাজীবন মনে রাখবে দেশ। ২০১৯-এ রিমা রাজেশ্বরীর পরিকল্পনা নাবালিকার বিয়ে আটকাতে বিশেষ প্রচার চালাবেন। পাশাপাশি শিশুদের ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা বাড়ছে। এই সব আটকাতে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়েও নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।
বি রাঘু কিরণ, আইআরএস
মানুষের মধ্যে জিএসটি সম্পর্কে ধারণা স্বচ্ছ করতে নিজে সময় ও অর্থ বিনয়োগ করে বিশেষ অ্যাপ চালু করেছেন, য়ার নাম GSTVerify। তাঁর কথায়, জিএসটির উপকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব, যদি তাঁদের বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে, আর অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে যদি তাঁদের মুক্তি দেওয়া যায়। এই কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়াই বিশেষ অ্যাপ তৈরি করেছি। ২০১৯-এ তাঁর কাজের ধারাকে আরো ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।
অতুল কুলকার্নি, আইপিএস
তাঁর বিশেষ উদ্যোগের নাম ভরসা সেল – অর্থাৎ, নিজের টিমের সদস্যদের নিয়ে প্রতি শনিবার মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনে, তা সমাধানের চেষ্টা করেন। নির্ভয়া পাঠক নামে বিশেষ ভ্রাম্যমান ভ্যান শহর পরিক্রমা করে। পুলিশ আধিকারকরা স্থানীয় মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এভাবেই। কাণ্ডারী অতুল কুলকার্নি।
হরিচন্দনা দাশারি, আইএএস
গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিপ্যাল কর্পোরেশনে নিজের অভিনব কাজের ধারা ছড়িয়ে দিয়েছেন আইএএস হরিচন্দনা দাশারি। বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন করে শহরের বস্তি অঞ্চলের প্রয়োজন মেটানো যায়, তা নিয়ে বিশেষ কাজ করে চলেছেন এই আইএএস।
আশিস তিওয়ারি, আইপিএস
নিজের ডিউটির গণ্ডির বাইরে বেড়িয়ে কাজের ধারা ছড়িয়ে দিয়েছেন সমাজের নানা স্তরে। আইআইটি খড়গপুরের এই প্রাক্তনী পুলিশকে পাশে পেতে সাধারণের জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করেছেন। গারহস্থ হিংসা রুখতে গ্রিন ব্রিগেড চালু করেছেন। স্মার্ট পুলিশি ব্যবস্থা উপহার দেওয়ায় তাঁর আগামীর লক্ষ্য।
রেনু রাজ, আইএএস
কেরালার আমলা রেনু রাজ নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বয়স্কদের জন্য উদ্যোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলাধুলো, চাকরি-সবক্ষেত্রই সমাজকে দিশা দেখিয়েছেন।
কুন্দন কুমার, আইএএস
উন্নয়ন বাঁকা, প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিজের কর্মকাণ্ড বিস্তার করে চেলেছেন বিহারের বাঁকার জেলাশাসক আইএএস কুন্দন কুমার। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০১৯-এ কৃষি ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে বিশেষ কাজ করাই লক্ষ্য।
কৃষ্ণ ত্বেজা, আইএএস
কেরালার আইএএস অফিসার কৃষ্ণ ত্বেজা স্থানীয়দের কাছে এক মহান ব্যক্তিত্ব। ২০১৮-র অগাস্টে রাজ্যের বন্যা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ও ১২০০ গবাদি পশু উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন।নিজের উদ্যোগে ত্রাণ শিবির তৈরি করে বন্যা দুর্গত মানুষদের খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। তাই এই রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি মসীহা।