আজ বিকেল: লোকসভা নির্বাচনের আগে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক প্রক্রিয়া শেষ করুক কমিশন৷ ভোটের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে ফেল ঝুলে যেতে পারে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর৷ দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবি ও কমিশনের ঢিলেমির বিরুদ্ধে ঠিক কী ভাবছেন চাকর-প্রার্থীদের একাংশ? সোশ্যাল মিডিয়া জনমত সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
সম্প্রতি, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে মতামত জানতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন চাকরিপ্রার্থী রাজা নন্দী৷ পোস্টে জানানো হয়, ‘‘এখনও পর্যন্ত খবর লোকসভা ভোটের আগেই আপারে নিয়োগ শেষ হবে৷যদি আপার নিয়োগে সরকার টালবাহানা করে আপনি কী করতে চান?’’ এই প্রশ্নে বিকল্প তিনটি মতামত জানতে চাওয়া হয়৷ প্রথমত, ‘‘জোরালো আন্দোলন ডেকে সরকারকে চাপে ফেলবেন। যাতে নিয়োগ করে৷’’ দ্বিতীয়ত, ‘বিরোধী শক্তিকে ভোট দিয়ে এই সরকার ফেলে দেবেন৷’’ তৃতীয়ত, ‘‘নিজে ভোট দেবেন না ও ভোট বয়কট করতে বলবেন। কারণ সব দলই বেকারদের কর্মসংস্থান সম্পর্কে নীরব৷’’
এদিনের এই মতামত সমীক্ষা দেখা যায়, কমিশনের উপর চাপ বাড়াতে জোরালো আন্দোলনে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ৫৬৪ জন চাকরিপ্রার্থী৷ দ্বিতীয় মতে ২৩০ জন সমর্থন জানান৷ তৃতীয় মতে ভোট দেন মাত্র ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী৷ ফলে, নয়া এই সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে টালবাহানা হলে কোনও ভাবেই ছেড়ে কথা বলেন না চাকরিপ্রার্থীরা৷
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহেই শেষের দিকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে কমিশন৷ আগামী অর্থবর্ষের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হতে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷ কমিশনের নয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে একলপ্তে কপাল খুলতে পারে অন্তত ১৭ হাজার চাকরিপ্রার্থীর৷ ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন?
জানা গিয়েছে, নবম-দশমের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার মাঝেই উচ্চ প্রাথমিকে ভ্যা রিফিকেশন শুরু হতে পারে৷ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া৷ নোটিশ দেওয়ার এক সপ্তাহ থেকে দিন দশেক পর থেকে ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে আগামী অর্থবর্ষ থেকেই নতুন চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন সফল প্রার্থীরা৷
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে কমপক্ষে ১৭ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে ডাকতে পারে কমিশন৷ জানুয়ারির মধ্যেই ভেরিফিকেশন পর্ব শেষ করার পরিকল্পনা করেছে কমিশনের৷ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে কমিশনে৷ ওই বৈঠকে নবম-দশমে দ্বিতীয় দফায় কাউন্সেলিংয়ে পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল ও শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় দশম-দ্বাদশে নিয়োগ কবে হবে তাও স্থির হতে পারে বলে খবর৷
অন্যদিকে, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগে তোড়জোড় শুরু করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী সপ্তাহ থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলেও কমিশনের তরফে জানানো হবে৷ ৬,২৩৮ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে শুক্রবার বিকেলে নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ অন্তত ৬ হাজার ২৩৮ জনকে নিয়োগপত্র দেবে মধ্যকশিক্ষা পর্ষদ৷ তবে, ২৯৯টি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ কারণ, স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই পদের জন্য যে যে স্কুলের নাম দিয়েছিল, সেখানে কোনও শূন্য পদই নেই৷ এই ২৯৯টি নিয়োগের জন্য স্কুলে শূন্য পদ খোঁজার কাজ চলছে৷ শূন্যপদে সমস্যা থাকা প্রার্থীদেরও ডাকা হবে বলেও জানা গিয়েছে৷
