মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা বাড়ছে না কেন?

কলকাতা: মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর দাবি আদায়ের আন্দোলনকে আরো তীব্রতর করার আহ্বান জানালেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। রানি রাসমণি রোডে পশ্চিমবঙ্গ মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের প্রকাশ্য সমাবেশে বিধানসভার বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিপিআই(এম)-এর সাংসদরা মন্ত্রিত্ব না নিয়ে স্কুলে মিড ডে মিল, ১০০দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছিলেন। এখন এই

মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা বাড়ছে না কেন?

কলকাতা: মিড ডে মিল কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর দাবি আদায়ের আন্দোলনকে আরো তীব্রতর করার আহ্বান জানালেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। রানি রাসমণি রোডে পশ্চিমবঙ্গ মিড ডে মিল কর্মী ইউনিয়নের প্রকাশ্য সমাবেশে বিধানসভার বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিপিআই(এম)-এর সাংসদরা মন্ত্রিত্ব না নিয়ে স্কুলে মিড ডে মিল, ১০০দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছিলেন। এখন এই মিড ডে মিল বেসরকারি সংস্থার হাতে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর, রাজ্য সরকার মিড ডে মিলের কর্মীদের নামমাত্র ভাতা দিয়ে গরিব পরিবারের মহিলাদের শুকিয়ে মারতে চাইছে। অন্য রাজ্যগুলি মিড ডে মিলের কর্মীদের ভাতা বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন বাড়াতে চাইছেন না? ভাতা না বাড়া পর্যন্ত আন্দোলনকে তীব্রতর করার কথা তিনি বলেছেন।

সুজন চক্রবর্তী আরো বলেন, যাঁরা স্কুলের ছেলেমেয়েদের মুখে আহার তুলে দেন তাঁরা না খেয়ে থাকবেন, এটা চলতে পারে না। মাত্র দেড় হাজার টাকা দেওয়া হয় রাজ্যের মিড ডে মিলের কর্মীদের। এক হাজার টাকা দেয় কেন্দ্র, পাঁচশো টাকা দেয় রাজ্য সরকার। অথচ, কর্ণাটকের মিড ডে মিলের কর্মীরা ৬হাজার টাকা পান। এরমধ্যে ৫হাজার টাকা দেয় সে রাজ্যের সরকার, কেন্দ্র দেয় এক হাজার টাকা। সে রাজ্য পারে, অথচ পশ্চিমবঙ্গ পারে না। ক্লাবকে টাকা দেবেন, কার্নিভাল করবেন, উৎসব করবেন, তার জন্য টাকা খরচ করতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু, মিড ডে মিলের কর্মীদের টাকা দিতে, আইসিডিএস কর্মীদের ভাতা বাড়াতে টাকার অসুবিধা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। এই মুখ্যমন্ত্রী কাদের প্রতিনিধি? কোটিপতি আম্বানির মেয়ের বিয়েতে যান কার প্রতিনিধিত্ব করতে? সমাবেশে সিআইটিইউ-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু বলেছেন, শুধু মিড ডে মিলের কর্মীরাই নন, সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কর্মীদের আর্থিকভাবে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র, রাজ্য সরকার। তাই আগামী ৮ ও ৯ জানুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করার প্রয়োজন আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের নীতির কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই সরকারকে সরাতে না পারলে গরিব, সাধারণ মানুষের দুঃখ আরো বাড়বে। রাজ্যের সরকারও একই মনোভাব নিচ্ছে অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে। তাই এই দুই সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =