নয়াদিল্লি: আগামী ৩৬ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হতে পারে ‘বিপর্যয়’, এমন আভাস আগেই মিলেছে। শনিবার সকালেই জানা গেল, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এটি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করবে ‘বিপর্যয়’। আরব সাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী ক্ষেত্রে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেশে কতটা পড়বে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, কর্নাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি। এই কারণেই উপকূলবর্তী এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও এই ঝড়ের ল্যান্ডফল কোথায় হবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি। তবে একটা বিষয় আপাতত স্পষ্ট, এই ঘূর্ণিঝড়ের ভারতে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। শেষ পাওয়ায় তথ্য অনুযায়ী, গোয়া থেকে ৬৯০ কিমি দূরে অবস্থান করছে এই ঝড়। মুম্বই থেকে ঝড়টির দূরত্ব ৬৪০ কিমি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Bengal Cyclone 2023 | আরব সাগরে ঘণীভূত ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় নিয়ে ফের সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন।” width=”853″>
কয়েক দিন আগে যে ঘূর্ণিঝড় এসেছিল তা তছনছ করেছে বাংলাদেশের কিছু অংশ এবং মায়ানমারকে। এবার পাকিস্তানের ওপর বড়সড় প্রভাব পড়ার কথা রয়েছে ‘বিপর্যয়’-এর। উল্লেখ্য, আরব সাগরে তৈরি এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে বাংলাদেশ। এদিকে এও জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় বর্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা পর্যন্ত বর্ষা পৌঁছলেও তা আর এগোতে পারছে না।