কথা বলার সুযোগই দিলেন না! প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পর অভিযোগ হেমন্তের

কথা বলার সুযোগই দিলেন না! প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পর অভিযোগ হেমন্তের

রাঁচি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির খবর নিতে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করেছিলেন তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তবে সেই ফোনালাপ যে খুব একটা ভাল হয়নি তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফোন আলাপ সম্পূর্ণ একতরফা ছিল এবং তিনি কোন কথা বলার সুযোগ দেননি! এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজের ‘মান কি বাত’ করেছেন।

ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, অন্ধপ্রদেশ সহ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী; কারণ ছিল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির খবর নেওয়া। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করে শুধুমাত্র নিজের মনের কথাই বলেছেন। তাঁকে কোন রকম কথা বলতেই দেননি। এককথায় শুধুমাত্র নিজের ‘মন কি বাত’ করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হেমন্ত সোরেনের এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশে। এই বিষয় নিয়ে তিনি টুইট পর্যন্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হেমন্ত সোরেনকে ফোন করে তাঁর রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই শোনেননি বা জিজ্ঞাসা করেননি। তিনি শুধুমাত্র নিজের কথাই বলে গিয়েছেন। এদিকে রাজ্যে ওষুধের এবং অক্সিজেনের সমস্যা রয়েছে তা বলবার চেষ্টা করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেই সুযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ডের সাধারণ মানুষের কথা জানার জন্য ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এইভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলে তাঁর রাজ্যের মানুষকে অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

গোটা দেশজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেভাবে চলছে তাতে একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন এবং ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে। মূলত দেশের পাঁচ রাজ্য থেকে সর্বাধিক করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর আছে ঠিকই, কিন্তু বাকি রাজ্যগুলির অবস্থা যে খুব একটা ভালো তা নয়। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত তিন দিনে তিনটি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তার মধ্যে দুটি চিঠি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত। সেই ব্যাপারে আদতে কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যবস্থা না এখন সেটাই দেখার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *