‘কংগ্রেসি’ রাজ্যগুলিতেও জাতিভিত্তিক জনগণনা, বড় সিদ্ধান্ত রাহুলের

‘কংগ্রেসি’ রাজ্যগুলিতেও জাতিভিত্তিক জনগণনা, বড় সিদ্ধান্ত রাহুলের

নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগের কথা। রাজ্যের জাতসমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিহারের নীতীশ কুমারের সরকার। এবার কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলিতেও জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে বলে ঘোষণা করল ‘হাত’ শিবির। ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজস্থানে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে আরও একাধিক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

রাহুল গান্ধীর ঘোষণা অনুযায়ী, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল প্রদেশ ও কর্ণাটকে জাতিভিত্তিক জনগণনা হতে চলেছে। এও জানানো হয়েছে, এই রাজ্যগুলিতে আর্থিক অবস্থার মানদণ্ডে জনগণনা হবে। কারণ তবেই বোঝা যাবে সমাজের কোন অংশের পাশে দাঁড়ানো এখনই প্রয়োজন। যদিও এই জাতিভিত্তিক গণনা নিয়ে কয়েক দিন আগেই বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য ছিল, জাতপাত ভিত্তিক জনগণনা করে দেশকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এই ইস্যুতে পাল্টা মোদী সরকারকেই তোপ দেগেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ক্ষমতা নেই জাতিভিত্তিক জনগণনা করার।

প্রসঙ্গত, বিহারে বর্তমান অন্যান্য অনগ্রসর গোষ্ঠী (ওবিসি)-র সংখ্যা ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া বিহারে প্রায়ে সাড়ে ১৯ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ আছে। ওবিসিদের মধ্যে আবার  ৩৬ শতাংশ অতি অনগ্রসর (ইবিসি) এবং ২৭ শতাংশের সামান্য বেশি সাধারণ অনগ্রসর গোষ্ঠীর। সব মিলিয়ে ওবিসিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের ওপর। এই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে, বিহারে অসংরক্ষিত বা জেনারেল শ্রেণির বাসিন্দা সাড়ে ১৫ শতাংশের সামান্য বেশি।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *