ইস্টবেঙ্গল আবেগকে ভোটবাক্সে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল, বিজেপি?

ইস্টবেঙ্গল আবেগকে ভোটবাক্সে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল, বিজেপি?

দেবময় ঘোষ: মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজনেই টুইট করেছেন। ১ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্মদিনে টুইটে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০০ পেরিয়ে ১০১ ইস্টবেঙ্গল। ছিন্নমূল বাঙালির স্পর্ধার শতবর্ষ পালন করছেন ইস্টবেঙ্গল জনতা। কালচক্রে, যেই আবেগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সেই আবেগকে গতিবেগে পরিণত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। প্রায় ৬ কোটি ইস্টবেঙ্গল জনতার ভোট পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন জয় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , নরেন্দ্র মোদি তা ভাল করেই জানেন। ২০২১ এর নির্বাচনে পূর্ব বঙ্গের শিকড় সহ উঠে আসা মানুষের ভোট কতটা জরুরি।

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আই এস এল খেলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তাঁর ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস চেষ্টা করছেন। এদিকে, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবের উদ্যোগের বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় একবার ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং পড়শী মোহনবাগান ক্লাব ৮০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছে এটিকে-এর কাছে। ইতিমধ্যেই তিনবার আই এস এল চ্যাম্পিয়ন এটিকে। এটিকে-মোহনবাগান নাম নিয়ে তারা আই এস এল খেলবে। তাই ক্লাব তাঁবুতে বাড়তি চাপ ইস্টবেঙ্গলে।

মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল – এই ভাবে কখনই ভাগ হয়নি বাংলার ভোট ব্যাংক। বরং মাঝে মাঝে বলা হত, পূর্ব বঙ্গের ছিন্নমূল বাঙালিরা সব হারিয়ে এসেছেন। মাথার ঘাম পায়ের ফেলে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা অনেক বেশি বামপন্থী। অনেকেই এই বঙ্গে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু, এই মতও প্রচলিত, 'বাংলার অগ্নিকন্যা' মমতার পথে তাঁকে আদর্শ বানিয়ে যাঁরা পথ চলেছেন, তারা পূর্ববঙ্গ থেকেই আসা – বাঙাল। পাঠক হিসাবে আপনি কীভাবে বিচার করবেন তা আপনার বিবেচ্য। তবে, বাংলার নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি কী বাঙালদের আস্থা অর্জন করতে পারবে – তা সময় বলবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *