প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে থাকার চেষ্টাতেই মমতার হয়ে এভাবে সওয়াল খাড়গের? জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকভাবে বিরোধিতা করে চলেছেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে যেভাবে কড়া বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, তা নিয়ে কংগ্রেস…

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকভাবে বিরোধিতা করে চলেছেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে যেভাবে কড়া বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, তা নিয়ে কংগ্রেস রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খাড়গে বলেছেন হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত না মানলে প্রয়োজনই তিনি দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। খাড়গে যা বলেছেন পাল্টা তার জবাব দিতে এতটুকুও দেরি করেননি অধীর। এই পরিস্থিতিতে একটা প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে যে, হঠাৎ অধীরের বিরুদ্ধে এভাবে আক্রমণাত্মক সুরে কথা কেন বললেন খাড়গে?

এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে প্রস্তাব করে বলেছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হোক। যথারীতি সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছিলেন খাড়গে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, মমতার সেই প্রস্তাব অবশ্যই খুশি করেছিল খাড়গেকে। তাই মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতেই বর্তমানে খাড়গের এই অবস্থান, এমনটাই ব্যাখ্যা সেই অংশের। অবশ্য পাল্টা মতও রয়েছে। সেই অংশের ব্যাখ্যা, ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় আসা মানেই কংগ্রেসের আসন সংখ্যা সবার থেকে বেশি থাকবে। কিন্তু সেই সংখ্যা কোনও ভাবেই সরকার গড়ার পক্ষে যথেষ্ট হবে না। তখন দেশের অন্যতম শক্তিশালী দল তৃণমূলের সমর্থন অবশ্যই দরকার পড়বে কংগ্রেসের। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সেই সূত্রেই অধীরকে এভাবে নিশানা করেছেন খাড়গে, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য কংগ্রেসের দাবি এবার বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ২০০ আসনের আশপাশে তারা আটকে যাবে বলে দাবি করছে কংগ্রেস। সেই জায়গায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে বিভিন্ন অ-বিজেপি দলের সমর্থন প্রয়োজন। তবে কী ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই খাড়গের এই অবস্থান? সেই সঙ্গে এই চর্চাও চলছে যে, খাড়গে যেভাবে অধীর চৌধুরীকে তিরস্কার করেছেন তাতে কী সায় রয়েছে গান্ধী পরিবারের? সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই কী খাড়গে এমন মন্তব্য করেছেন? সবমিলিয়ে খাড়গের বিস্ফোরক মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *