অভিষেককে কী এবার হেফাজতে নেওয়ার রাস্তায় হাঁটবে সিবিআই? সুপ্রিম নির্দেশের পরেই জল্পনা তুঙ্গে!

অভিষেককে কী এবার হেফাজতে নেওয়ার রাস্তায় হাঁটবে সিবিআই? সুপ্রিম নির্দেশের পরেই জল্পনা তুঙ্গে!

নিজস্ব প্রতিনিধি: শীর্ষ আদালতে রেহাই পেলেন না তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা যায় জোর ধাক্কা খেয়েছেন তিনি। সিবিআই বা ইডি প্রয়োজনে অভিষেককে জেরা করতেই পারে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ পেলেন না অভিষেক। সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। তবে কী এবার অভিষেককে ফের জেরা করে, এমনকী প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার রাস্তায় হাঁটবে সিবিআই? এই জল্পনা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই শুরু হয়েছে।

 

আর সিপিএমের আইনজীবী-সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যকেও এমন সম্ভাবনার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রয়োজন মনে করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তের স্বার্থে হেফাজতে নিতেই পারে, এমনটাই বলছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”এই মামলায় রাজ্য সরকার অত টাকা খরচ করে কেন আইনজীবী নিয়োগ করল? সরকার কি চাইছে দুর্নীতির তদন্ত না হোক? এই মামলায় সরকারের তো কোনও ভূমিকা ছিল না! এটা নিয়ে মানুষকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। আর এখন সিবিআই বা ইডি মনে করলে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে (অভিষেককে) হেফাজতে নিতেই পারে। সেটা নেওয়াও উচিত। তদন্তকে তিনি ভিন্ন পথে পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলছেন কুন্তলকে চেনেন না। কুন্তল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। তাই হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি”।

 

আর এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন,” উনি (অভিষেক) বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় কথা বলেন। বলেন দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসিকাঠে ঝুলবেন। তাহলে তদন্তে ভয় পাচ্ছেন কেন? কেন বারবার কলকাতা হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টে ছুটছেন? সত্যিই দুর্নীতিতে যুক্ত না থাকলে তদন্তে ভয় কেন?” তাই এটা স্পষ্ট যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেশ বিপাকেই পড়েছেন অভিষেক।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের দিকে তাকালে আরও বোঝা যাবে কতটা অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন অভিষেক। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ স্পষ্ট এবং ভারসাম্য যুক্ত”। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তির কিছু দেখছে না সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা-সহ একঝাঁক শিক্ষাকর্তা। তবে কী এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার জেরে অভিষেককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার রাস্তায় হাঁটবেন সিবিআই আধিকারিকরা? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। যদিও শাসক দলের দাবি বিজেপির ইশারায় সিবিআই-ইডি তৃণমূলকে এভাবে হেনস্থা করতে চাইছে। তাই আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বড় চমক দেখা যায় কিনা এখন তারই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =