৭০০টাকা দিয়ে দেশি মাগুর মাছ খাচ্ছেন? আদৌ সেটি মাগুর তো?

বিষ্ণুপুর: ৭০০টাকা কেজি দাম দিয়ে দেশি মাগুর মাছ খাচ্ছেন? আদৌ সেটি দেশি মাগুর তো? নাকি আফ্রিকান ক্যাট ফিশ? কেনার আগে একটু যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, দেশি মাগুরের মতো দেখতে ‘আফ্রিকান ক্যাট ফিশ’ পুকুরে থাকলে অন্যান্য প্রজাতির মাছ খেয়ে সাবাড় করে দেয়। তাতে আগামী দিনে দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংস হয়ে

৭০০টাকা দিয়ে দেশি মাগুর মাছ খাচ্ছেন? আদৌ সেটি মাগুর তো?

বিষ্ণুপুর: ৭০০টাকা কেজি দাম দিয়ে দেশি মাগুর মাছ খাচ্ছেন? আদৌ সেটি দেশি মাগুর তো? নাকি আফ্রিকান ক্যাট ফিশ? কেনার আগে একটু যাচাই করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্য আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, দেশি মাগুরের মতো দেখতে ‘আফ্রিকান ক্যাট ফিশ’ পুকুরে থাকলে অন্যান্য প্রজাতির মাছ খেয়ে সাবাড় করে দেয়। তাতে আগামী দিনে দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই ওই মাছ যাতে এরাজ্যে চাষ অথবা আমদানি না হয় তার জন্য নজরদারি চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য দপ্তর। বাঁকুড়াতেও এবিষয়ে দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্লকে ব্লকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা মৎস্য আধিকারিক কিরণলাল দাস বলেন, আফ্রিকান ক্যাট ফিশ’-এর বিজ্ঞানমসম্মত নাম ক্লেরিয়াস গ্যারিপিনাস। পুকুরে থাকলে ওরা অন্যান্য মাছ খেয়ে নেয়। ওই মাছ খুব কম সময়ে ওজন বেড়ে যায়। আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত ওজনের হয়। তাই লাভজনক ভেবে অনেকেই ওই মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু, তাতে ব্যাপক হারে হলে দেশি প্রজাতির মাছ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ওই মাছ চাষ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সহ বাইরে থেকে এরাজ্যে চোরাপথে ওই মাছের চারা ঢুকছে বলে দপ্তরের পক্ষ থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে। তাই রাজ্যের সর্বত্র এবিষয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। বাঁকুড়াতেও ব্লকে ব্লকে খবর পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন কর্মশালায় এবিষয়ে চাষিদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *