সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনের রাস্তা কেটে দিল সেনা বাহিনী

কলতাতা: ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গঙ্গার ধারে অবস্থিত ভবনটির সামনের রাস্তা কেটে দিল সেনাবাহিনী৷ শনিবার সকালে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান যে সেনাবাহিনীর কর্মীরা বেশ কিছু যন্ত্র নিয়ে এসে রাস্তা মাপামাপি করছে। সেই মুহূর্তেই নিরাপত্তারক্ষীরা খবর দেন কলেজের অধ্যক্ষকে৷ খবর পেয়ে অধ্যক্ষ কলেজের সামনে উপস্থিত হলে তিনি এসে দেখেন সেনাবাহিনীর কর্মীরা মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে৷

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনের রাস্তা কেটে দিল সেনা বাহিনী

কলতাতা: ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গঙ্গার ধারে অবস্থিত ভবনটির সামনের রাস্তা কেটে দিল সেনাবাহিনী৷ শনিবার সকালে কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান যে সেনাবাহিনীর কর্মীরা বেশ কিছু যন্ত্র নিয়ে এসে রাস্তা মাপামাপি করছে। সেই মুহূর্তেই নিরাপত্তারক্ষীরা খবর দেন কলেজের অধ্যক্ষকে৷ খবর পেয়ে অধ্যক্ষ কলেজের সামনে উপস্থিত হলে তিনি এসে দেখেন সেনাবাহিনীর কর্মীরা মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে৷ তখন তিনি ওই কর্মীদের কলেজের সামনে রাস্তা কাটতে বাধা দেন৷ তারপর কর্মীরা তাঁকে জানান, তাঁদের কাছে নির্দেশ রয়েছে রাস্তা কেটে দেওয়ার৷

এর পর বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হওয়ার পর তাঁরা চলে যায় ঘটনাস্থল ছেড়ে৷ কলেজ অধ্যক্ষ মনোজিৎ রায়ের বক্তব্য, তিনি খবর পেয়ে এসে দেখেন বিশাল সংখ্যক সেনা বাহিনী এসে রাস্তা খুড়ে দিচ্ছে কোন রকম নোটিস ছাড়াই। এছাড়াও এই জমি নিয়ে একটি মামলা চলছে বারাসাত জর্জ কোর্টে। তার জন্য সেই মামলা চলাকালীন কোনও রকম কোনও কাজ আমরাও করতে পারব না এবং সেনাবাহিনীও করতে পারবে না বলে তিনি জানান।

অধ্যক্ষ আরও জানান যে সেনাবাহিনী বলপূর্বক এমন কাজ করল, আর আজ পরীক্ষা চলছে কলেজে, সেই সময়ে এরকম করা ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের পক্ষেও খুব সমস্যা তৈরি হল। চেষ্টা চলছে এমন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়ার। এর আগে দুপক্ষের যৌথ পর্যবেক্ষন হয়েছে তাতে দেখা গেছে কলেজ কর্তৃপক্ষেরই জমি বেশি আছে৷ তাতেই হতাশ হয়েই এমন কাজ করছেন তারা। আমরা এখন প্রশাসনিক কর্তাদের জানাচ্ছি কারন যাদের আইন শৃঙ্খলা দেখা কাজ তারাই এমন কাজ করলে তা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয় উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকেও আমরা জানাব কারন এই কলেজ ন্যাকের তরফে প্রথম তালিকা ভুক্ত কলেজ। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, এমন ভাবে রাস্তা কেটে দেওয়ায় আমাদের পক্ষে খুবই সমস্যা তৈরি হয়েছে। গর্ত পেরিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *