কলকাতা: ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। এই দিনটি যে বাংলার রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দিনটিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রতি বছর সভা করে। তবে এই বছর বিজেপি সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পনের আর্জি জানিয়ে সভা করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই অনুমতি তিনি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহেই বদলে যাবে আকাশের রূপ, ভিজতে পারে তিলোত্তমা
প্রত্যেকবার বিজেপি যা অভিযোগ থাকে এবারেও ছিল। বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে সভা করার অনুমতি চেয়েছিলেন পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি বলে দাবি বিজেপির। তারপরেই তারা কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয় নিয়ে হাজির হয়। এখন জানা গিয়েছে, আদালত বিজেপিকে সভার অনুমতি দিয়েছে কিন্তু বেশ কিছু শর্তের কথাও বলা হয়েছে। মূলত চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই সব শর্ত মানা হলেই সভা করা যাবে আগামী কাল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”গত ৯ মাসে চাকরি গেল মোট কত জনের? How many individuals lost jobs in past 9 months?” width=”560″>
আদালত জানিয়েছে, বিজেপিকে সকাল ৮টা থেকে সভা শুরু করতে হবে। আর শুভেন্দুকে তাঁর সভা শেষ করতে হবে দু’ঘণ্টার মধ্যে। অর্থাৎ ১০ টার মধ্যে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? আসলে বেলা ১১টা থেকে তৃণমূলের সভা রয়েছে নন্দীগ্রামে। তার এক ঘণ্টা আগে বিজেপিকে সভাভ শেষ করে তৃণমূলের জন্য সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। এছাড়াও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, শান্তিপূর্ণভাবেই এই সভা করতে হবে বিজেপিকে। কোনও রকম অশান্তিকর পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় তার দিকে নজর দিতে হবে।