কলকাতা: কুণাল ঘোষের টুইট, নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে তাঁদের নাম। আচমকাই যেন নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন বিরোধী নেতা দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীরা। ইতিমধ্যে তো সুজন জায়া মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে বড় অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন তিনি, অর্থাৎ দুর্নীতি গন্ধ পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যাপারে তদন্তের সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়াও আরও বড় দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘কোথাও পালিয়ে যাব না’, আদালতে ৫ মিনিট বলতে চেয়েছিলেন পার্থ, যা বললেন
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বাম আমলেও ৪৬ হাজার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। ব্রাত্যের দাবি, ‘কম্পট্রোলার অডিট জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ বা ক্যাগের রিপোর্টে এর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তাই তাঁর প্রশ্ন, শুধু তৃণমূল আমলে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা কেন? বাম আমল নিয়ে কেন কথা হবে না। একই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন, তৃণমূল সরকার বামেদের নিয়ে এতদিন কোনও অভিযোগ তোলেনি, তাহলে ভদ্রতা কি তাঁদের দুর্বলতা? এমনই প্রশ্ন ব্রাত্যের। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, বাম আমলে কারও স্কুল কলেজে অনিয়মের চাকরি হয়নি এমনটা নয়। তিনি ব্যক্তিগত ভাবেই অনেককে চেনেন যাদের এইভাবে চাকরি হয়েছে, দাবি তাঁর। শেষে তিনি স্পষ্ট করেন, গোটা বিষয়টি সরকারি ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সুপারিশে সুজনের স্ত্রীর চাকরি? শুরু রাজনৈতিক লড়াই! TMC’s allegation against Sujan Chakraborty’s wife” width=”853″>
তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ক্যাগের এই রিপোর্ট ২০০৯-২০১০ সালের, তখন বাংলায় বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে। তাহলে এতদিনেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে তদন্ত করেনি, তা বড় প্রশ্ন।