কলকাতা: আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত ভোটের কোনও খবর না বেরিয়ে আসলেও খুব শীঘ্রই যে তা বেরোবে এটা স্পষ্ট। আর তার জন্যই ইতিমধ্যে জেলা সফর শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। একাধিক জেলায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই জেলা সফর নিয়ে কিন্তু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মমতা তাঁর সফরের খরচ তোলার জন্য স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের থালায় ভাগ বসিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বাংলা শিখবেন রাজ্যপাল, সরস্বতী পুজোয় হবে হাতেখড়ি, রাজভবনে আসবেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর নিয়ে এদিন টুইট করেছেন বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের জন্য যা খরচ হয় তা মেটানো হয়েছে মিড ডে মিলের মতো সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ থেকে। মমতা তাঁর জেলা সফরের খরচ তুলছেন স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের থালা থেকে! শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, মিড ডে মিলের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে মুখ্যমন্ত্রীর হিঙ্গলগঞ্জ সফরের খরচ মেটানো হয়েছে।
CM @MamataOfficial grabs from School Childrens’ food plates to fund her trips. What a shame !
Lakhs of rupees were diverted from the Mid Day Meal funds for CM’s trip to Hingalganj; North 24 Parganas, last November. Even funds for SC, ST & OBC Development were wasted on her trip. pic.twitter.com/Q6paIC4l0t
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 19, 2023
একই সঙ্গে তফসিলি জাতি, উপজাতি সহ বিভিন্ন তহবিলের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। সম্প্রতি বঙ্গের দুই জায়গার মিড ডে মিলের খাবার সাপ, টিকটিকি মিলেছিল। সেই ইস্যুতে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, প্রকল্পের টাকা অন্য জায়গায় খরচ হচ্ছে বলেই এইসব ঘটনা ঘটেছে।
₹ 1.35 crore was spent on her 2 day visit. This is just a small example. WB Govt & its Officers from the top to the BDOs regularly divert funds unethically.
But stealing from Children’s plates is just unimaginable.
That’s why snakes & lizards are found in Mid Day Meals in WB.— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 19, 2023
এই নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই পালটা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন তাঁর জেলা সফর কীসের টাকায় হতো সেটা বলা দরকার। স্পষ্টত বলা হয়েছে, বিজেপি নেতা এখন কুৎসা রটাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর তথ্যের কোনও প্রমাণ নেই।