কলকাতা: ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় এক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে বলে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। সেই মামলায় শিক্ষকের বদলিতে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কোন আইনে এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটাও এদিন তিনি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান। পাশাপাশি রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে আজকে আন্দোলন হচ্ছে না। বিগত কয়েক মাস ধরে এই আন্দোলন চলে আসছে। সেই বিক্ষোভ থামাতেই রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হয় যে, ধর্মঘটে যোগ দিল কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। একই সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় এক শিক্ষককে বদলি করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। সেই মামলাতেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, এই মর্মে কী ভাবে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যায়? কোন আইনে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে? তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষককে বদলি করা যাবে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নেই টাকা, মুখ ফেরাল অ্যাম্বুলেন্স, শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে বাড়ির পথে বাবা” width=”789″>
প্রসঙ্গত, সোমবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ নিয়ে বড় মন্তব্য করেন। আন্দোলনকারীদের তাঁর ‘পরামর্শ’, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি খুঁজে নিন, তা হলে আরও বেশি বেতন পাবেন, আরও বেশি ডিএ পাবেন! একই সঙ্গে তাঁর কথা, রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে ভালবেসেই তিনি বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতেন। এই প্রসঙ্গেই তিনি ফের মনে করিয়ে দেন, ডিএ ‘বাধ্যতামূলক’ নয়, ‘ঐচ্ছিক’।