এক পরিবার, এক পরিচিতি! আধারের মতো ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির পথে রাজ্য

এক পরিবার, এক পরিচিতি! আধারের মতো ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির পথে রাজ্য

কলকাতা: সিএএ বা নাগরিকপঞ্জি আইন কার্যকর করা  নিয়ে বরাবরই বেসুরো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রে আধার সংযোগ করা নিয়েও তিনি সোচ্চার হয়েছেন৷  কেন্দ্রীয় সরকারের নিত্যনতুন নির্দেশে রাজ্যবাসী ক্লান্ত বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে নির্দিষ্ট পরিচিতি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সরকার৷ এই নয়া পরিচয়পত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদানের পথ মসৃণ করে তোলাই সরকারের লক্ষ্য৷ প্রত্যেক পরিবারের জন্য ওই নির্দিষ্ট পরিচিতি পৃথক তথ্যভান্ডার গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। আধার কার্ডের সঙ্গে এই পৃথক পরিচিতির কিন্তু কোনও সংঘাত নেই৷ 

এই ব্যবস্থা চালু করার আগে রাজ্যের সর্বত্র সমীক্ষা চালানো হবে। তারপরেই পরিবারভিত্তিক তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা হবে। এখন আধার নম্বরের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু, এই নয়া আইডেন্টিটি চালু হলে গোটা পরিবার সম্পর্কে জরুরি তথ্য মিলবে। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য, এমনকীতাঁদের কে, কোন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন বা পাচ্ছেন না সেই খোঁজও মিলবে তথ্যভান্ডার থেকে৷ যে সমস্ত পরিবার ন্যূনতম একটি সরকারি প্রকল্পেরও সুবিধা পায়, প্রাথমিক পর্যায়ে তাদেরই এই পরিচিতি দেওয়া হবে। এর বাইরেও কোনও পরিবার তা চাইলে তাদেরও দেবে রাজ্য সরকার৷ তেমনটাই খবর প্রশাসন সূত্রে৷ 

এই পরিচিতি চালু হলে, সরকারি প্রকল্প পেতে আর কোনও নথির প্রয়োজন হবে না। এই নয়া আইডেন্টিটির মাধ্যমেই রাজ্যের মধ্যে সমস্ত কাজ দ্রুত করে ফেলা যাবে। কারণ, এর মধ্যেই গোটা পরিবারের ডিটেইলস থাকবে। আধার–প্যান নম্বরও থাকবে এখানে৷  মানুষকে আর কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। কর্নাটকে এমন একটি সিস্টেম চালু রয়েছে৷ যার নাম ‘কুটুম্ব’৷ এই নয়া আইডেন্টিটি চালু হলে সরকার এবং উপভোক্তা, উভয়েরই সময় বাঁচবে। পরিষেবা প্রদানের প্রক্রিয়াও দ্রুত হবে। কর্নাটক সরকারের ধাঁচে এ রাজ্যেও নিজেদের তথ্যভান্ডার তৈরি করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। জানা গিয়েছে, আপাতত খাদ্যসাথীর তথ্যকেই থামরুল ধরে এগোনো হবে। কারণ, রাজ্যে প্রায় ৮.৮৩ কোটি ডিজিটাল রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে আবার প্রায় ৮.৫৮ কোটি কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা রয়েছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *