শুধু গরু পাচার নয়, জেলা পরিষদের টেন্ডার থেকেও কাটমানি নিতেন কেষ্ট: ED

শুধু গরু পাচার নয়, জেলা পরিষদের টেন্ডার থেকেও কাটমানি নিতেন কেষ্ট: ED

 নয়াদিল্লি:  গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের আরও কুকীর্তি ফাঁস৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর অফিসাররা জানাচ্ছেন, শুধু গরুপাচার নয়, সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্যেও কাটমানি নিতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। ইডি সূত্রে খবর, জেলা পরিষদের কাজের বরাত পাইয়ে দিতে ১ থেকে ৫ শতাংশ কাটমানি নিতেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। তাঁর হয়ে টাকা সংগ্রহের কাজ করতেন তাঁর দেহরক্ষী তথা বিশ্বস্ত সঙ্গী সায়গল হোসেন। অনুব্রতর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি।

ইডি-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, তদন্তে নেমে একাধিক ঠিকাদারের মুখে অনুব্রতর নাম উঠে এসেছে৷ যাঁরা তাঁকে কাটমানি দিয়েছিলেন। জেলা পরিষদের কাজের ঠিকা পেতে অনুব্রতকে ১ থেকে ৫ শতাংশ কাটমানি দিতে হয়েছে। তাঁদের কথায়, যে কাজে যত বেশি লভ্যাংশ, সেই কাজের জন্য তত বেশি কাটমানি নিতেন কেষ্টদা। জেরায় ঠিকাদাররা আরও জানিয়েছেন, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই এই কারবার চালু করেন অনুব্রত। তবে নিজের হাতে কখনও টাকা নিতেন না তিনি। টাকা দিতে হত পার্টি ফান্ডে অনুদান হিসাবে। কাটমানির টাকা টাকা সংগ্রহ করতেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এমনকী কার কাছে কত বকেয়া রয়েছে, যাবতীয় হিসেব-নিকেশও রাখতেন সায়গলই।
 

ইডির চার্জশিটে উল্লেখিত তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা তো এসব কথা আগে থেকেই জানি। তবে কাটমানির হারটা আরও বেশি। তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। এই টাকা কার কার কাছে যেত, সেটা মানুষ জানতে চায়। ইডি-সিবিআইয়ের সেই তথ্য খুঁজে বার করা উচিত৷