নয়াদিল্লি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কারণ ধারণা মিলেছে যে এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতো বা তার থেকেও বেশি বিধ্বংসী হতে পারে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় কোন অভিমুখে যাবে, সেটা এখনও পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে মোটামুটিভাবে প্রমাদ গুনছে কমপক্ষে চার রাজ্য। যার মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ। কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
যে যে রাজ্যে আপাতত সতর্কতা জারি করা হয়েছে তার মধ্যে আছে মায়ানমার, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। অর্থাৎ যতক্ষণ না নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না কোন পথে এগোবে এই ‘মোখা’। তবে এই মুহূর্তে আশঙ্কা মায়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনও উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। দু’দিন আগেই আবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’! কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? About Cyclone Mokha’s impact on Bengal” width=”789″>
দিল্লির মৌসম ভবন এই চার রাজ্যকে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ৮ মে-র পর প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১২ কিংবা ১৩ মে সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এই মুহূর্তে কোনও দাবিতেই কেউ শিলমহর দিতে পারছে না। তবে এইসব রাজ্যগুলি আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
