কলকাতা: রাজ্যে বন সহায়ক পদে চাকরি বাতিল নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলাটি উঠেছিল। এর আগে বন সহায়ক পদে ২ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করেছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়৷ বৃহস্পতিবার ওই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল আদালত।
২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ক্রটির অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, ত্রুটি সংশোধন না করেই চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। ওই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল, নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য দু’মাস সময়ও দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বন সহায়ক পদে ২ হাজার প্রার্থীর যে নিয়োগ তালিকা তৈরি হয়েছিল, আগামী ২ মাস পর তা বাতিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। বলা হয় পুরনো তালিকায় থাকা কোনও ব্যক্তির নাম যদি নতুন তালিকা থেকে বাদ যায়, সেক্ষেত্রে তাঁর চাকরি বাতিল হতে পারে।
আদালতের নির্দেশ মাফিক চলতি সপ্তাহেই বন সহায়ক পদের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন বেঞ্চে যান কয়েক জন কর্মী। তাঁদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, পুরনো প্যানেলে কোনও ত্রুটি হয়ে থাকলে, সেখান থেকে অযোগ্যদের বার করে দেওয়া হোক।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>