বালেশ্বর: শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার চার দিন কেটে গিয়েছে। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাদের মধ্যে মঙ্গলবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই কারণে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮। এদিকে রেল সূত্রে খবর, ১০০-র বেশি মৃতদেহ শনাক্ত করাই যাচ্ছে না। অনেকে মর্গে গিয়েও তাদের পরিচিতের দেহ চিনতে পারছেন না। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে। পাশাপাশি আশঙ্কা, আগামী কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু মানুষ। তাদের অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ১০০ যাত্রী আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আপাতত ৯০০ জন ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু বাকি যে ২০০ জন রাজ্যের নানা হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন তাদের নিয়েই আশঙ্কা। এদিকে ১০১ জনের দেহ শনাক্ত করতে পারেনি মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এর মূল কারণ, দুর্ঘটনার পর অনেকের দেহ বিকৃত হয়েছে। হাত, পা কেটে যাওয়া তো আছেই, কারোর মুণ্ডচ্ছেদ হয়েছে, অনেক দেহ আবার একসঙ্গে এক জায়গায় রাখার কারণে চেনাই দায় হয়েছে। এর মধ্যেই প্রিয়জনকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হতভাগ্য পরিবারের সদস্যরা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ করতে আরও কটা দিন সময় লাগবে? | coromandel express accident” width=”853″>
এদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রবিবার জানিয়েছিলেন, বালেশ্বরের দুর্ঘটনা নিয়ে শীঘ্রই রিপোর্ট প্রকাশ করবেন রেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিশনার (সিআরএস)। তবে, এখন জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই ৫-৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই ট্রেনের কর্মী ও চালক। গ্রামবাসীদের সাক্ষ্য এখনও নেওয়া হয়নি। কেউ সাক্ষ্য দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে। তাই রিপোর্ট পেশে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।