অদ্ভুত এই রেস্তোরাঁয় খাবার অর্ডার দেওয়ার আগেই জমা রাখতে হয় মোবাইল

বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চিত্রটা এমনই যে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হলেও দেখা যায় তারা একে অন্যের সাথে সময় কাটানোর চেয়ে নিজেদের স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেটে মুখ গুঁজে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। এমনকি শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও চিত্রটা পরিবর্তন হয় না। তাই যুক্তরাজ্যের একটি রেস্তোরাঁ চেইন মানুষের এই প্রবণতা পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘ফ্র্যাঙ্কি এন্ড বেনিজ’

অদ্ভুত এই রেস্তোরাঁয় খাবার অর্ডার দেওয়ার আগেই জমা রাখতে হয় মোবাইল

বর্তমান বিশ্বের বাস্তব চিত্রটা এমনই যে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হলেও দেখা যায় তারা একে অন্যের সাথে সময় কাটানোর চেয়ে নিজেদের স্মার্ট ফোন বা ট্যাবলেটে মুখ গুঁজে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। এমনকি শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও চিত্রটা পরিবর্তন হয় না। তাই যুক্তরাজ্যের একটি রেস্তোরাঁ চেইন মানুষের এই প্রবণতা পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘ফ্র্যাঙ্কি এন্ড বেনিজ’ নামের এই রেস্তোরাঁ বলছে গবেষণা অনুযায়ী শিশুরা চায় তাদের অভিভাবকরা যেন নিজেদের ফোনের পেছনে কম সময় ব্যয় করে তাদের দিকে বেশি সময় দেয়। তাই রেস্তোরাঁটির পরীক্ষামূলক এক পরিকল্পনা অনুযায়ী যেসব অভিভাবক দোকানে প্রবেশ করার পর দোকানের কর্মচারীদের হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট জমা করবেন তাঁদের সন্তানদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় দশ শতাংশ শিশু কোন না কোন সময় তাদের অভিভাবকদের ফোন লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাতে তাদের অভিভাবকরা তাদের দিকে মনোনিবেশ করে এবং প্রায় কুড়ি শতাংশ শিশুর ধারণা তাদের অভিভাবকরা তাদের সাথে গল্প করার চেয়ে নিজেদের স্মার্টফোনের পিছনে সময় দিতে বেশি পছন্দ করে। ওই রেস্তোরাঁটির পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১৫০০ অভিভাবক ও শিশুকে নিয়ে এই পরীক্ষা চালানো হয়। প্রসঙ্গত ‘নো ফোন জোন’ নামক এই প্রচারটি চালানোর সময় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পরিবারকে একটি বাক্স দেবে যেখানে তাঁরা তাঁদের ফোন রাখতে পারবেন। যুক্তরাজ্যে এই রেস্তোরাঁটির প্রায় ২৫০টি শাখা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের এই প্রকল্প সফল হলে, তারা এই রেস্তোরাঁর অন্যান্য শাখাগুলিতেও এই ধরনের উদ্যোগ নেবে। টুইট্যারে কিছু মানুষ এটিকে স্বাগত জানালেও অনেকে আবার সমালোচনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *