‘আমি এই সেলে থাকব না’, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দাবি করছেন জ্যোতিপ্রিয়

‘আমি এই সেলে থাকব না’, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দাবি করছেন জ্যোতিপ্রিয়

কলকাতা: এ যেন সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করা। একটা নয়, দুটো হাসপাতাল বলছে শরীর ঠিক আছে, স্থিতিশীল। কিন্তু ব্যক্তি নিজে দাবি করছেন যে তিনি অসুস্থ এবং তাঁকে যেন হাসপাতালে রাখা হয়। হ্যাঁ, এমনই দাবি করে জেল থেকে হাসপাতালে যেতে চাইছেন রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে অন্তত এমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নয়, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়। 

ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল তাঁর হাই সুগার থেকে শুরু করে একাধিক রোগ আছে। পরিবারের আর্জি অনুযায়ী শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে সেই হাসপাতাল থেকে কম্যান্ড হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। সেই হাসপাতালের রিপোর্ট বলছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অবস্থা স্থিতিশীল। শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসকও জানিয়েছেন তিনি আপাতত সুস্থ। কিন্তু না, মন্ত্রী যেন নাছোড়বান্দা যে তিনি অসুস্থ এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু এমন কেন করছেন রাজ্যের মন্ত্রী?  

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলে থাকা আর সেখানকার খাবার নিয়ে ভীষণভাবেই অসন্তুষ্ট জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশের সাত নম্বর সেলটি বরাদ্দ করা হয়েছিল তাঁর জন্য। জানা গিয়েছে, ওই সেলে ঢোকার আগেই তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, ”আমি রাজ্যের মন্ত্রী আর আমি এই সেলে থাকব?” তাঁর বক্তব্য, জেল রাজ্য সরকারের আওতায়। তাই তিনি এই সেলে থাকবেন না। এমনিতেই তাঁর শরীরের বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে তাই তাঁকে যেন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা চলে জেল কর্তৃপক্ষের। 

এই ইস্যু নিয়ে আপাতত জলঘোলা কমেছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার এই সেলেই খাওয়া-দাওয়া করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে খুব সামান্যই প্রাতঃরাশ করেছিলেন বালু। দুপুরে তাঁকে দেওয়া হয় জেলে তৈরি ডাল-রুটি। সেই সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেওয়া হয় বেশ কিছু পদ। এদিন জেলে মন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজের থালায় ছিল আটার রুটি এবং ডাল৷ এছাড়াও তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, শাক-সব্জি, সিদ্ধ ডিম এবং কিছু ফল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *