আউল, বাউল ও পৌষমেলা- একটি ঐতিহ্য

তিয়াষা গুপ্ত: এককথায় গ্রামীণ কার্ণিভাল। বাঙালির সাধের পৌষমেলা এখন কর্পোরেট চেহারা নিয়েছে। কিন্তু এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে বীরভূমের মাটির গন্ধ, বাউল, উপজাতি সংস্কৃতি, ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস। সবমিলিয়ে তাই এখনো এই মেলার টানে মানুষ পৌষ এলেই শান্তিনিকেতন মুখো হন। এবারও সেই ধারা অব্যাহর থাকতে চলেছে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে ৭ পৌষ মেলার রেওয়াজ। এবার মেলা শুরু হচ্ছে ২৪

আউল, বাউল ও পৌষমেলা- একটি ঐতিহ্য

তিয়াষা গুপ্ত: এককথায় গ্রামীণ কার্ণিভাল। বাঙালির সাধের পৌষমেলা এখন কর্পোরেট চেহারা নিয়েছে। কিন্তু এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে বীরভূমের মাটির গন্ধ, বাউল, উপজাতি সংস্কৃতি, ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস। সবমিলিয়ে তাই এখনো এই মেলার টানে মানুষ পৌষ এলেই শান্তিনিকেতন মুখো হন। এবারও সেই ধারা অব্যাহর থাকতে চলেছে। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে ৭ পৌষ মেলার রেওয়াজ। এবার মেলা শুরু হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর। উত্সবে মাততে চলেছে কবিতীর্থ।

যাঁরা ছেলে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা দেননি, তাঁদের কী হবে? চিন্তায় নাসিরুদ্দিন শা



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন। বাংলার ঐতিহ্য এই পৌষমেলা। গ্রামীণ রূপ থেকে এখন কর্পোরেট। তবে আকর্ষণ আজও অনাবিল। মেলার মাঠে এলে বাউলের মাটির সুর মন মাতিয়ে দিতে বাধ্য। সঙ্গে উপজাতি সংস্কৃতির উপস্থাপনা। উপজাতি শিল্পের ছোঁয়া, হস্তশিল্প-এককথায় বাংলার ঐতিহ্যের স্বাদ পেতে আজও এর টান অপার। ২ টো দিন মেলাকে কেন্দ্র করে বিপণীরা লাভের মুখ দেখেন। সেই সব অর্থনৈতিক দিকে না গিয়েও বলা যায় শুধু ইতিহাসকে ভর করে এই মেলা আরো অনেকটা পথ সফর করবে।

গতি পেল রথ, বিজেপির খরায় চড়া সুর

দেবেন ঠাকুর সেই পথের ঠিকানা দেখিয়েছেন। মেলা হবে, মিলন হবে উত্সব হবে আর খাবার হবে না, তা হয় নাকি! মেলার মাঠে এলে পৌষের অনুসঙ্গ পিঠি পুলি আপনাকে টানবেই।

ব্যতিক্রমী নিয়মের বালাই – নাম কাশ্মীর, এবার রাষ্ট্রপতির শাসন উপত্যকায়

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

সালটা ১৮৪৩ ২১ ডিসেম্বর। বাংলার ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কুড়ি জন অনুগামীকে নিয়ে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের থেকে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। এটা শান্তিনিকেতনের পৌষ উত্সবের মূল ভিত্তি। ১৮৯১ সালে ২১ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে একটি ব্রাহ্মমন্দির স্থাপিত হয়। ১৮৯৪ সালে ব্রাহ্মমিন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মরণে মন্দিরের উল্টোদিকের মাঠে একটি ছোটো মেলার আয়োজন করা হয়। সেই শুরু হয়। তারপর ইতিহাসের সাঁকো বেয়ে মেলা হয়ে আসছে।

বিজেপির রথযাত্রায় ঠিক কী কী শর্ত চাপাল হাই কোর্ট?

প্রথম দিকে বাহ্মমন্দিরের উত্তর দিকের মাঠে মেলা আয়োজিত হত। সেই দিন সান্ধ্য উপাসনার পর বাজি পোড়ানো হত। পরে মেলার আয়তন বৃদ্ধি পেলে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে মেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। ৭ পৌষ ভোর বেলায় সানাই বাদনের আয়োজন করা হয়। বৈতালি দল গান গাইতে গাইতে আশ্রম পরিক্রমা করে। এরপর ছাতিমতলায় উপসনার আয়োজন করা হয়। লোকসঙ্গী, লোকনৃত্য, ইতিহাস হয়ে আজও মেলার টান অপরিসীম।

‘উন্নয়নের জোয়ারে’ও মমতার শহরে বাড়ছে ‘গরিবে’র সংখ্যা

কলকাতায় শীতভর খাদ্যমেলা, হস্তশিল্পমেলা, খাদিমেলা, ট্রেড ফেয়ার-মেলার অন্ত নেই। যে মেলাকে ঘিরে আছে বাংলার ঐতিহ্য-আবেগ আর ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস, সেখানে কর্পোরেটের রঙ না লাগলেই ভালো। কলকাতার জন্য থাক না ট্রেড ফেয়ার, আর বাংলার মাটির গন্ধ মিশে থাক পৌষমেলার মাঠে। এই আবেদন চিরকালীন।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *